লাইফস্টাইল

ঝাল খাবার খাওয়ার পর স্বস্তি পেতে যা খাবেন

অনেকেই অতিরিক্ত ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন। তবে সে জন্য কারও কারও বেগ পেতে হয়, ঝালে জিহ্বাতে জ্বালাপোড়া করে! ঝাল খাবার থেকে স্বস্তি পেতে প্রথমে আমরা পানি পান করি। পানি কিন্তু ঝাল লাগা কমায় না, বরং বাড়ায়! কথাটা শুনে অবাক লাগছে? তাহলে জানি কেন আমাদের ঝাল খাবার খেলে মুখে ঝাল লাগা অনুভূত হয়।

ঝাল খাবারে ক্যাপাসাইসিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। সেই উপাদানে এক ধরনের প্রাকৃতিক তেল পাওয়া যায়। আর তেল ও পানি কখনও মেশে না। যা আপনার কোষঝিল্লি থেকে ক্যাপসিসিন তাড়ানোর বদলে মুখের ভেতরের অন্য অংশে ছড়িয়ে দেয়। এতে করে মুখের ভেতর আরও ঝাল লাগা অনুভূত হয়। পানির পরিবর্তে কিছু খাবার আছে সেগুলো খেলে ঝাল লাগা থেকে দ্রুত স্বস্তি পাওয়া যায়। চলুন তাহলে জেনে নিই সে খাবারগুলো সম্পর্কে।

টমেটো ও লেবু : টমেটো ও লেবু মুখের ঝালভাব কমাতে দারুণ কাজে দেয়। ঝালের যে অ্যাসিড থাকে, তা টমেটো বা লেবু খেলে কার্যকারিতা হারায়। ঝাল লাগলে তাই দ্রুত এক টুকরো টমেটো মুখে দিতে পারেন। কমলা, আনারস ও লেবুর রসেও একই ধরনের উপাদান আছে। যদি তরকারি খুব বেশি ঝাল হয় তাহলে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। ঝাল দ্রুত কমে যাবে।

দুধজাতীয় খাবার : ঝাল লাগলে দুগ্ধজাত খাবার দ্রুত যাদুর মতো কাজ করে। ঠাণ্ডা এক চুমুক দুধ বা এক চামচ দই মুখের জ্বালা জুড়াতে পারে। দই মুখে দিলে দ্রুত মুখের জ্বলুনি কমবে। দুগ্ধজাত খাবারে ক্যাপসিসিন নামক এক উপাদান থাকে, যা ঝালে থাকা ক্যাপসিসিনকে ভেঙে ফেলে ও এর প্রভাব থেকে মুক্তি দেয়।

চিনি ও মধু : মুখে বেশি ঝাল লাগলে একটু চিনি বা এক চামচ মধু খেয়ে নিতে পারেন। তেলজাতীয় ক্যাপসিসিনকে চিনি বা মধু শোষণ করে নেয় এবং মুখের জ্বলা ভাব দ্রুত দূর করে।

শ্বেতসার : মুখে বেশি ঝাল লাগলে দ্রুত ফোলা রুটি বা এক লোকমা ভাত খেয়ে নিতে পারেন। ক্যাপসিসিন ও মুখের মধ্যে প্রাকৃতিক বাধা দেয় শ্বেতসার। এতে কিছুটা ক্যাপসিসিন শোষিত হয়। এছাড়া ঝোলজাতীয় কোনো তরকারিতে ঝাল বেশি হলে তখন আলুর কয়েক টুকরা দিয়ে দেবন। এতে করে তরকারিতে ঝাল অনেকটা কমবে। একইভাবে স্যুপেও ঝাল হলেও একই পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button