বিশেষ খবররাজনীতি

খাদ্য চাহিদা মোকাবেলায় পতিত জমিতেও চাষাবাদ করতে হবে : স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, কৃষকদের নিরলস পরিশ্রমেই ষোলকোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিতে প্রণোদনা প্রদান, সারের পর্যাপ্ত ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, ১০ টাকায় কৃষকের ব্যাংক একাউন্ট খোলা, বিদ্যুৎ সুবিধা প্রদান ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ নানামুখী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এবং তার সুফলও এদেশের জনগণ পাচ্ছে।

তিনি কৃষিতে নারীদের অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ার ও ষোল কোটি জনগণের খাদ্য চাহিদা মোকাবেলায় অনাবাদী-পতিত জমিতেও চাষাবাদ করার আহবান জানান।

সোমবার বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির দুই দিনব্যাপী ১৭তম জাতীয় সম্মেলন ও সেমিনারের শুভ উদ্বোধন করে স্পিকার এ আহ্বান জানান।

রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) মিলনায়তনে আয়োজিত এ সম্মেলন সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. এম এ সাত্তার মন্ডল।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাবেক সিনিয়র সচিব ও সম্মেলন কমিটির আহ্বায়ক মো. মেসবাহুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির মহাসচিব ড. মো. মিজানুল হক কাজল।

সম্মেলনে কৃষিতে প্রশংসনীয় অবদান রাখার জন্য বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির পক্ষ থেকে তিনজন বরেণ্য কৃষিবিদকে স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়। স্বর্ণপদক প্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন ড. মো আবুল কাশেম, ড. জাহাঙ্গীর আলম খানম এবং সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা গঠনের। তাই তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে সরকার গঠনের পরপরই উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য কৃষিকে অগ্রাধিকারভুক্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত করেন এবং কৃষিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো পুনর্গঠন করেন। কৃষিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনয়নের জন্য তিনি বিভিন্ন গবেষণামূলক সংস্থা ও ফাউন্ডেশন গঠন করেন।

তিনি আরো বলেন, গ্রামীণ মানুষের মুক্তি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বঙ্গবন্ধু আজীবন সংগ্রাম করেছেন। কোভিড অভিঘাতজনিত ঘাটতি পূরণ করে কৃষিখাতকে উৎপাদনমূখী করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়োজনীয় ভর্তুকি প্রদানসহ সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সঠিক ভূমি ব্যবস্থাপনা ও উন্নতি প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিতে সমৃদ্ধি আনতে হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button