বিশেষ খবর

বেইলি রোডে আগুন : উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে দিয়েছে হাইকোর্ট

ঢাকা, ৪ মার্চ, ২০২৪ (বাসস) : রাজধানীর বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় স্বরাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
পৃথক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও  বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
কমিটিতে পুলিশ, রাজউক, ফায়ার সার্ভিস, বুয়েটের বিশেষজ্ঞ, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। এই কমিটি চার মাসের মধ্যে বেইলি রোডে একটি ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনার কারণ অনুসন্ধান ও এ ঘটনার জন্য কারা দায়ী- তা খুঁজে বের করবে। এ ছাড়া রাজধানীর ভবনগুলোতে অগ্নিকা-ের ঘটনা প্রতিরোধে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা কেমন হবে- তার সুপারিশ করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
একইসঙ্গে আইন অনুযায়ী স্কুল, কলেজ ও শপিংমলসহ রাজধানীর  ভবনগুলোতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না রাখা কেন অবৈধ হবে না- তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেছে আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন- এডভোকেট ইউনূছ আলী আকন্দ ও  এডভোকেট ইসরাত জাহান সান্ত¡না।
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুন লেগে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়ে গতকাল রিট দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইসরাত জাহান সান্ত¡না। রিটে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করার নির্দেশনা চাওয়া হয়। একইসঙ্গে রিটে সরকারের গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আদালতে দাখিল করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ রাজধানীর বেইলি রোডসহ সকল আবাসিক স্থাপনায় রেস্টুরেন্ট বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের আইজি, রাজউকের চেয়ারম্যান, ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটির মেয়রসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী (রেসপনডেন্ট) করা হয়। একইদিন আসক, ব্লাস্ট ও বেইলি রোডে অগ্নিকা-ে নিহত তানজিনা নওরিনের পরিবারের এক সদস্য পৃথক আরেকটি রিট দায়ের করেন। ওই রিটে রুল চাওয়ার পাশাপাশি নিহত ব্যক্তিদের পরিবার- আহত ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। একটি হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
২৯ শে ফেব্রুয়ারি রাতে ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। এই অগ্নিকা-ে ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আরো বেশ কয়েকজন মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। বেইলি রোডের এ ভবনে কাচ্চি ভাইসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ও ফ্যাশন হাউজ ছিল। আকস্মিক এ অগ্নিকা-ের হতাহতের ঘটনায় দেশব্যাপী শোকের ছায়া নেমে আসে। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় নিহতেদের মধ্যে আইনজীবী, সাংবাদিক, প্রকৌশলী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষজন ছিল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button