আঞ্চলিকসংগঠন সংবাদ

যশোরে‘নাইটকুইনে’মজলে খোয়াবে মোবাইল, মানিব্যাগও সম্মান


মালিক উজ জামান, যশোর : যশোরেশহরেররাস্তায়রাতেরআঁধারেচলার পথে কোনোনারীরছলনারফাঁদে পা দিলেইপড়তেহবেবিপদে। শুধু মোবাইলমানিব্যাগনয়, খোয়াতেহতেপারে সম্মানও।
সম্প্রতিএমনঘটনাসংঘটিতহয়েছেযশোরেরশহরেরঅন্ধকার ও অরক্ষিতজায়গাগুলোতে। শহরের বেশকয়েকটি স্থানেরাতেআধারে শোভাপায়‘নাইটকুইন’নামেএকটিছিনতাইকারী দল। নারী ও তৃতীয় লিঙ্গের কয়েকজনমিলে গড়া দলটিরাতের পথচারীদেরআকৃষ্ট করতেনানা অঙ্গভঙ্গিমা করে। তাদের অঙ্গভঙ্গিতে যারামজেছেতারাইপড়েছেবিপদে। তবে সম্মানবাঁচাতেএসবনিয়েআর উচ্চ বাচ্য নাকরেনীরবেইঘটনাহজমকরে নেন অনেকে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দেরকাছ থেকে জানা গেছে, রাত ১২টা পার হলেইযশোরশহরেরজনবহুলরাস্তারঅনেকজায়গাঅন্ধকারহয়েযায়। অন্ধকার ও অরক্ষিত স্থানগুলোরএকটিঐতিহ্যবাহীমুন্সি মেহেরুল্লাহময়দানসংলগ্নএলাকা। ইনস্টিটিউটমার্কেটবন্ধহওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানেহাজিরহনকয়েকজন ‘নাইটকুইন’ দলের সদস্য। নাইটকুইনদের দলে তালমিলিয়ে সেখানেআসেকয়েকজনতৃতীয় লিঙ্গের মানুষও। নারীরসাজে সেখানেএসেনানা অঙ্গভঙ্গিমায় পথচারীদেরআকৃষ্ট করে। তারপরকাউকে পেলেইতারাধরেনিয়েযায়ইনস্টিটিউটগণশৌচাগারেরমধ্যে। সেখানেফাঁদে পড়াদের খোয়াতে হয় মানিব্যাগ মোবাইলসহসবকিছু। লোকলজ্জায় এসবপ্রকাশনাকরে ভুক্তভোগীরা নীরবে কেটে পড়েন। অভিযোগরয়েছে, সহজেকার্যসিদ্ধি নাহলেনাইটকুইনরাধারালো অস্ত্রও বেরকরেসবকিছুহাতিয়ে নেন।
আরওজানা গেছে, গভীররাতেবিশেষপ্রয়োজনেইনস্টিটিউটের দক্ষিণপাশেরপকেট গেট দিয়ে কেউ দড়াটানাযাওয়ারউদ্দেশ্যে এলেতাকেও ওই ছিনতাইকারীরাচাকু ঠেকিয়েনিয়ে নেয় সব কিছু ।
প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ইনস্টিটিউটেরপশ্চিমপাশের গেটে মার্কেটের একজন নৈশ প্রহরী দায়িত্ব পালনকরেন। পাশাপাশিইনস্টিটিউটভবনেরসামনেও থাকেনএকজন নৈশ প্রহরী। পরিস্থিতিরকারণেতারানীরব থাকতেবাধ্য হন। এ সব নাইটকুইনদেরব্যাপারেঅনেকেইঅবগতআছে, কিন্তু কেউ ব্যবস্থা নেয়না।
নামপ্রকাশেঅইচ্ছুক এক নৈশ প্রহরীবলেন, খারাপ মেয়ে-ছেলেরাইনস্টিটিউটেরএলাকায়খারাপকাজকরে। আমরাকিছুবললেইআমাদেরহুমকি-ধামকি দেন। ক্ষতিকরারভয় দেখাই।’
কোতোয়ালি থানাপুলিশেরভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) তাজুলইসলামবলেন, এমনটি ঘটছে কিনাতাআমারজানা নেই। তবেঘটলেঅবশ্যই দলটিরব্যবস্থা নেওয়াহবে। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়াহচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button