শীর্ষ নিউজসংগঠন সংবাদ

সবুজ জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সাইকেল র‌্যালি

Exif_JPEG_420

জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধ, শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিশ্চিতকরণ এবং আগামী প্রজন্মকে জলবায়ু-জনিত দুর্যোগ থেকে রক্ষায় গাইবান্ধায় সাইকেল র‌্যালি করেছে তরুণ জলবায়ু কর্মীরা। 

‘জীবাশ্ম জ্বালানি বন্ধ ও নবায়নযোগ্য শক্তি, এতেই জলবায়ু সংকটের মুক্তি’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস। এ সময় তরুণ জলবায়ু কর্মীরা জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে সরে আসতে সরকার ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। 

মঙ্গলবার (১৭ই জানুয়ারি) গাইবান্ধা পৌর পার্ক থেকে সাইকেল র‌্যালিটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। সবুজ জ্বালানির দাবি সম্বলিত প্লাকার্ড নিয়ে সাইকেল র‌্যালিতে জেলার বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংগঠনের তরুণরা অংশ নেন। 

ক্লাইমেট পার্লামেন্ট বাংলাদেশ ও দ্য আর্থ সোসাইটির সহায়তায় ইয়ুথনেট গাইবান্ধা শাখার সাইকেল র‌্যালিটি আয়োজন করে। র‌্যালিটিতে উপস্থিত ছিলেন গাইবান্ধা পৌর সভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, গাইবান্ধা জেলা রোভার সম্পাদক ধীরেশ চক্রবর্তী, ইয়ুথনেটের গাইবান্ধা জেলা সমন্বয়কারী মোঃ মারুফ মিয়া, জেলা সহ সমন্বয়কারী মোঃ অয়াকিল আহম্মেদ জায়েদ, কোষাধক্ষ্য মোঃ কাফি ইসলাম লিমন ও অন্য সদস্যরা।

 সাইকেল র‌্যালি শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর দেশ অনেক বেশি নির্ভরশীল। এ অবস্থা থেকে সরে আসতে সরকার ও বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা বলেন, পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কার্যক্রম বন্ধ এবং একটি জ্বালানি নিরাপদ ও টেকসই বাংলাদেশের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি উৎসাহিত করতে হবে। বাংলাদেশের মতো দেশে শতভাগ নবায়নযোগ্য জ্বালানি বাস্তবায়ন করতে হলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী উন্নত দেশগুলো থেকে শর্তহীন প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। কিন্তু উন্নত বিশ্ব আমাদের দুর্যোগকে কেন্দ্র করে ঋণের ব্যবসা করতে চায়। এ আচরণের বিরুদ্ধে জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর নেতা হিসেবে বাংলাদেশকেই কথা বলতে হবে। 

ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিসের নির্বাহী সমন্বয়ক সোহানুর রহমান জানান, ‘জলবায়ু সংকট আমাদের দেশ ও বিশ্বের জন্য একটি বড় দুর্যোগে পরিণত হয়েছে। জলবায়ু সংকট কাটিয়ে উঠতে দেশের জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা বন্ধ করা এবং ভবিষ্যতের জন্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার উৎসাহিত করা জরুরি। এ ছাড়া দূষণকারী দেশগুলোর থেকে ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এই পৃথিবী আমাদের। তাই এই পৃথিবীকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button