অর্থ ও বাণিজ্যসংগঠন সংবাদ

তুচ্ছ কারনে এনজিও কতৃক ঋনগ্রহীতাকে হয়রানির অভিযোগ


বিজ্ঞ আদালতে এন আই এ্যাক্ট ১৩৮ ধারায় মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি
মালিক উজ জামান, যশোর : যশোর এলাকায় তুচ্ছ কারনে ঋন গ্রহীতাদের ব্যাপক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ২/১টি কিস্তি বকেয়া থাকায় মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় ঋন আদায়কারী কিস্তি আদায় না করে গ্রাহক ফল্ট দেখিয়ে গ্রাহক কে মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। ক্ষদ্ধ ভূক্তভোগী গ্রাহকরা এই অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার কোহিনুর বেগম নামে একজন গ্রাহক জাগরনী চক্র খেদাপাড়া অফিস থেকে ১০০০০০ (এক লক্ষ) টাকা ঋন গ্রহন করেন ২৩/০২/২০২১ তারিখে। ১০০০০ টাকা করে প্রতি কিস্তি অনুসারে তার ১২০০০০/- পরিশোধ করার কথা। চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত তিনি ৬৩৯৬৩ টাকা পরিশোধ করেছেন। এরপর আর কেউ তার বাড়ি ঋনের কিস্তি নিতে আসেনি। হঠাৎ করে তার বাড়ী মামলার সমন নিয়ে হাজির যশোরের আদালত থেকে। সমন অনুসারে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরামপুর আমলী আদালত, যশোর এর মামলা নম্বর : পি-৯৭২, সি আর- ৭২২/২২। ধারা এনআই এ্যাক্টের ১৩৮ ধারা। বাদী জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশনের পক্ষে মো: ননাহারু হক (৪৩) পিতা- মৃত মহব্বত মন্ডল, সহকারী ম্যানেজার জাগরনী চক্র ফাউন্ডেশন খেদাপাড়া শাখা, মনিরামপুর এরিয়া, যশোর-২ জোন। আসামী- কোহিনুর বেগম (৩৮), স্বামী-শাহাবুদ্দিন মোড়ল, সাং- বাসুদেবপুর, মনিরামপুর যশোর। স্বাক্ষী বাদী ও মনিরামপুর সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক লি: ব্যবস্থাপক।
আসামীর পিতা আব্দুর রশিদ জানান, মামলার কথা শুনে তার মেয়ে জামাই নাতি নাতনী কেঁদে কেটে একাকার। এর আগে ওদের মামলা খাওয়ার অভিজ্ঞতা নেই। দিক বিদিক হয়ে মামলায় হাজিরা দিয়ে জামিন গ্রহনে তার কন্যাকে উকিল ফি উকালতনামা জামিন নামা বাবদ তার কন্যা কোহিনুর বেগমের বেশ কিছু টাকা খরচ হয়ে গেছে। এমনিতে টানাটানির সংসার তার উপর এই আর্থিক ক্ষতিতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অথচ বাড়ি কিস্তি আাদয় করতে যায়নি সংশ্লিষ্ট ঋন আদায়কারী।
শুধু কোহিনুর একা নয়। জাগরনী চক্রসহ বিভিন্ন এনজিও অতি তুচ্ছ কারনে গ্রাহকদের মামলাসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এ বিষয়ে স্থানীয় নির্বাচিত জন প্রতিনিধি ও প্রশাসনকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে। কেননা চারিদিকে ঋন গ্রহীতাদের নামে মামলায় গ্রাহক হয়রানি হচ্ছে ব্যাপকভাবে। আদালত সূত্র জানায় আর্থিক বিশেষ করে ঋনগ্রহীতা এনজিওর পক্ষে মামলার সংখ্যা এখন ব্যাপক। এতে ঋন গ্রাহীতারা ব্যাপকভাবে হয়রানী হচ্ছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button