ফ্রিল্যান্সিং এবং ডিজিটাল পরিষেবা খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে একত্রে কাজ করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব দিয়েছে নাইজেরিয়া। শনিবার (১৪ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন নাইজেরিয়ার যোগাযোগ ও ডিজিটাল অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী অধ্যাপক ইসা আলী ইব্রাহিম পান্তামির নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। বৈঠকে নাইজেরিয়ার মন্ত্রী এ প্রস্তাব দেন। কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতার বিষয়েও সম্মত হয়েছে বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়া।
বৈঠকে প্রথমবারের মতো বড় একটি প্রতিনিধিদল নিয়ে ঢাকা সফরে আসার জন্য নাইজেরিয়ান মন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। একইসঙ্গে নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থ-সামাজিক খাতে গত এক দশকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বিদ্যমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট সত্ত্বেও বাংলাদেশ শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখছে। নাইজেরিয়ান প্রতিনিধি দলকে ডিজিটাল সেক্টরে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স, বিশেষ করে দ্রুত উন্নত করা আইটি সেক্টর এবং বাংলাদেশ হাই-টেক পার্কের সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করেন মোমেন।
বৈঠকে উভয়পক্ষ বাংলাদেশি কৃষকদের দ্বারা নাইজেরিয়ায় চুক্তিভিত্তিক চাষের সম্ভাবনা অনুসন্ধানের পাশাপাশি কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতার বিষয়ে সম্মত হন।
ডি-৮ দেশগুলোকে পারস্পরিক বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর দেন ড. মোমেন। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে নাইজেরিয়ার অব্যাহত সমর্থন কামনা করেন তিনি।
এদিন নাইজেরিয়ান মন্ত্রী পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গেও একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে তারা চলমান দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা, বিশেষ করে দুই দেশের জনগণের যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।