প্রযুক্তিসংগঠন সংবাদ

ইনক্লুসিভ ডিজিটাল ফিউচার’ বেইজলাইন সার্ভের ফলপ্রকাশ

[ঢাকা০২ নভেম্বর২০২৩আজ ( নভেম্বরজিপি হাউজে উন্মোচন করা হয়েছে ‘ইনক্লুসিভ ডিজিটাল ফিউচার‘ বেইজলাইন সার্ভের প্রতিবেদন। টেলিনরপ্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশগ্রামীণফোন  প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল নরওয়ের অংশীদারিত্বে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি নিয়ে  সার্ভে পরিচালনা করা হয়যার লক্ষ্য ছিল আটটি প্রত্যন্ত  সুবিধাবঞ্চিত কমিউনিটির জনগোষ্ঠীর জীবনাচরণবিভিন্ন প্রতিকূলতা  তাদের জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোতে আলোকপাত করা। ২০২৪ সালের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে শুরু হওয়া  প্রকল্পের উদ্দেশ্য ২৩ লাখ মানুষকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা। জরিপের প্রতিবেদন প্রকাশের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারঅ্যাকাডেমিয়াআন্তর্জাতিক  বেসরকারি সংস্থাপ্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগী অংশীদার প্রতিষ্ঠান এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ। 

যুগান্তকারী এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশের সুবিধাবঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি করা ও ইন্টারনেট নিরাপত্তা জোরদার করা। বিস্তৃত পরিসরে পরিচালিত এ বেইজলাইন সার্ভের মাধ্যমে এ প্রকল্প যাত্রা শুরু করে। এ সার্ভের মাধ্যমে উল্লিখিত কমিউনিটির জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা, প্রয়োজন ও ভবিষ্যতের লক্ষ্যের ওপর আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ চতুর্থ শিল্প বিল্পবের জন্য নাগরিকদের প্রস্তুত করে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে অংশ নিতে, আমাদের ডিজিটাল স্মার্ট নাগরিক তৈরি করতে হবে, যেনো স্মার্ট নাগরিকদের হাতে তাদের নিজস্ব সমাধান থাকে।”

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর কবিতা বোস জাতীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয়তা হিসেবে ডিজিটাল সচেতনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন এবং গবেষণা, প্রশিক্ষণ, উদ্যোগ গ্রহণ ও জ্ঞান প্রচারের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত রূপরেখা তুলে ধরেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. তানিয়া হক এবং সিএএমপিই বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী লিঙ্গ সমতা এবং নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য বেইজলাইন জরিপের ফলাফলের গুরুত্বের ওপর জোর দেন এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য ডিজিটাল সাক্ষরতা এবং দক্ষতার তাৎপর্যের ওপর আলোকপাত করেন।

গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল ও জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থার সহযোগিতায় কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং সবার জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও নারীদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে সবাই বেইজলাইন সার্ভের ফলাফলে গুরুত্বারোপ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে অনলাইন নিরাপত্তা ও ডিজিটাল সাক্ষরতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কার্যকর কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করেন। এটা শুধুমাত্র ডিজিটাল রূপান্তরই নয়; পাশাপাশি, কিশোরী ও তরুণীদের অগ্রাধিকার দিয়ে একটি যাত্রার সূচনা; কেননা, তারাই দেশের ভবিষ্যৎ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button