প্রযুক্তিসংগঠন সংবাদ

ইংরেজি ও প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ পেল তিনটি জেলার ১২০০ কিশোরী

সবার জন্য গুণগত শিক্ষা-টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যকে অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশের মতো দক্ষিণ এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে নারীদেরকে ইংরেজি ও ডিজিটাল শিক্ষায় সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। এরই ধারাবাহিকতায়, ডিনেট ও ব্রিটিশ কাউন্সিল অংশীদ্বারিত্বে EDGE (English and Digital for Girls Education) প্রকল্পের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলগুলোতে অনগ্রসর ও সুবিধাবঞ্চিত কিশোরী মেয়েদের ইংরেজি ও ডিজিটাল শিক্ষার ক্লাব স্থাপন করে চলেছে।

ডিনেট এবং ব্রিটিশ কাউন্সিল যৌথভাবে ‘English and Digital for Girls Education (EDGE)’ প্রকল্পটির মাধ্যমে মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও লালমনিরহাটের ১২০০ কিশোরীকে ইংরেজি ও ডিজিটাল শিক্ষায় দক্ষ করে তুলছে।  প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করছে, হংকং সাংঘাই ব্যাংকিং কর্পোরেশন (এইচএসবিসি)।

এই প্রকল্পের তৃতীয় ধাপ শুরু করার পূর্বে, জানুয়ারি মাসব্যাপি তিনটি জেলায় তিন দিন করে ১৭ই জানুয়ারি থেকে ২৫ই জানুয়ারি পিয়ার গ্রুপ লিডারদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়। এই তিন দিনের প্রশিক্ষণে প্রতিটি ক্লাব থেকে দুইজন পিয়ার গ্রুপ লিডার (পিজিএল) করে মোট ১০০ জন অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণের সেশনগুলোতে ব্রিটিশ কাউন্সিলের এক্সপার্ট ট্রেইনার সেশনগুলো পরিচালনা করেন।

প্রশিক্ষণে তথ্য প্রযুক্তির শিক্ষার মধ্যে ইন্টারনেট ব্রাউজিং, এমএস অফিস, নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো গুজব সম্পর্কে সচেতনতা, ডিজিটাল নিরাপত্তা ইত্যাদি শিখানো হয়। সামাজিক সচেতনতার জন্য মিনা কার্টুন (ইংরেজি ভার্সন) দেখানো হয়, যেখানে বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা ও সমাধান কিশোরীরা দেখতে পারে। পরবর্তীতে সমস্যাগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারে। একুশ শতাব্দীর দক্ষতাগুলো যেমন: নাগরিক অধিকার, যোগাযোগ, সহযোগিতা, সৃজনশীলতা, সমালোচনামূলক চিন্তা ইত্যাদি শিখানো হয় এ প্রশিক্ষণে। যা তাদের দৈনন্দিন জীবনে সচেতন ও দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে ভূমিকা রাখবে।

ক্লাবগুলোর মাধ্যমে কিশোরীরা ইংরেজি চর্চা, ডিজিটাল শিক্ষা চর্চা, সামাজিক সচেতনতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে এবং আয় উপার্জনের বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ সম্পর্কে জানবে। যার ফলে কিশোরীরা পারিবারিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে এবং রাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ে অবদান রাখতে পারবে। এছাড়াও কিশোরীরা নেতৃত্ব বিকাশেও দক্ষ হয়ে উঠবে।

এ বিষয়ে ইডিজিই প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর ও ডিনেটের এসিসটেন্ট ম্যানেজার মাইশা ফারজানা বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের বিকাশ ও দক্ষতা অর্জনে সহযোগী একটি পরিবেশ তৈরি করা।

ডিনেটের নির্বাহী পরিচালক এম. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, বাংলাদেশের নারীদের বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হলে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা ও ইংরেজি শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।

তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রকল্পকে পরবর্তীতে সারা বাংলাদেশের স্কুল গুলোতে ছড়িয়ে দিতে পারলে তা হবে আমাদের অর্জন।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button