চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

বিএনপির রোডমার্চে বাবাকে দেখে ছেলের বিষপান, হাসপাতালে ইমনকে দেখতে যায় তথ্যমন্ত্রী

 

রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: বিএনপির রোডমার্চে অংশ নেয়া বাবার ছবি দেখে নিরব ইমন (২২) নামে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার এক ছাত্রলীগ নেতা বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন।
৬ অক্টোবর শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় অসুস্থ ইমনকে দেখতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে ছুটে যায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের মালিরহাট আলকাজ পন্ডিত বাড়ির নিজ বসতঘরে এই ঘটনা ঘটে। ইমন পোমরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। তার বাবার নাম মোহাম্মদ জহির (৪৫)। তিনি পোমরা ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোমরা ইউনিয়নে জিয়াউর রহমানের প্রথম কবরস্থানে রোডমার্চ উপলক্ষে বিএনপি নেতারা জড়ো হচ্ছেন, এমন খবরে তাৎক্ষণিক শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সেখানে ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা নিরব ইমনও। এসময় চট্টগ্রাম নগরীতে অনুষ্ঠিত বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে তার বাবার অংশ নেওয়ার একটি ছবি দেখতে পেয়ে তাকে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে লাল চিহ্ন দিয়ে পাঠান তার সহকর্মী অন্য এক ছাত্রলীগ নেতা। এমনকি এটি তাদের ম্যাসেঞ্জার গ্রুপেও শেয়ার করা হয়েছিলো। ছাত্রলীগ নেতা নিরব ইমন বাবার ছবিটি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়িতে ছুটে যান এবং এই নিয়ে পরিবারের সদস্যদের সাথে রাগারাগি করেন। একপর্যায়ে বিষপান করে বসেন ছাত্রলীগ নেতা ইমন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তার বাবা মোহাম্মদ জহির বলেন, আমি ছিলাম শহরে। ঘরে কী হয়েছে জানি না। তবে আমি বিএনপির প্রোগ্রামে এসেছি শুনে ইমন বিষপান করেছে বলে জেনেছি।
তার স্বজন পোমরা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মো. মহিউদ্দিন বলেন, ইমনের বাবা সম্পর্কে আমার ফুফাতো ভাই। সে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় আমার সাথে তার কথাবার্তা হতো না। তবে ইমন তার বাবাকে প্রায় সময় বিএনপির রাজনীতি থেকে বিরত থাকতে বলত। এরপরও তার বাবা বিএনপির রোডমার্চ কর্মসূচিতে যাওয়ায় ক্ষোভে ইমন এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে জেনেছি।
চট্টগ্রাম মেডিক্যালে ইমনকে নিয়ে যাওয়া তার চাচা মো. পারভেজ বলেন, মেডিক্যালে তাকে ওয়াশ করার পর চিকিৎসকরা তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button