বিশেষ খবর

৫-১১ বছরের শিশুদের করোনার টিকাদান শুরু

করোনা সংক্রমণ রোধে রাজধানীতে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের (প্রাথমিকের শিক্ষার্থী) টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শিশুদের টিকা দান শুরু হয়, চলবে একটানা বিকেল ৩টা পর্যন্ত।

রাজধানীর ২১ কেন্দ্রসহ সারাদেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ৫৫টি জোন ও ৪৬৫টি ওয়ার্ডে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের আগামী ১৪ দিন দেওয়া হবে টিকা। পর্যায়ক্রমে দেশের সব জায়গায় শুরু হবে শিশুদের টিকা দেওয়ার এ কার্যক্রম।

সকাল ৯টায় রাজধানীর নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিকা কার্যক্রমের উদ্ধোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বলেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি কেন্দ্রে আজ পরীক্ষামূলকভাবে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনে ২১টি কেন্দ্রে শিশুদের টিকা দেওয়া হবে। একইসঙ্গে বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদেরও করোনা টিকার আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ এখনো করোনার টিকা দিতে পারেনি। সে দিক থেকে আমরা টিকা কার্যক্রমে সফল। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এটি সম্ভব হয়েছে। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা চিন্তা করেই শিশুদের করোনা টিকার আওতায় আনা হচ্ছে। এছাড়াও টিকা নেওয়ার পর শিশুদের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ইমার্জেন্সি মেডিকেল টিম সেবা দেবে। তবে এমন সম্ভাবনা খুবই কম বলেও জানান তিনি।

শিক্ষার্থীরা অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে টিকা নিতে পারবে। শিশুদের এ টিকা কার্যক্রমের প্রথম ১২ দিন স্কুলে এবং পরবর্তী দুদিন স্কুলের বাইরে বিভিন্ন বুথ টিকা দেওয়া হবে। স্কুলপড়ুয়া এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পর্যায়ক্রমে সারাদেশে এ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। তবে বুথে এসে রেজিস্ট্রেশন করেও টিকা নেওয়ার সুযোগ থাকছে।

প্রসঙ্গত, করোনা প্রতিরোধে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা দেওয়া হবে। গত ৩০ জুলাই শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ১৫ লাখ ২ হাজার ৪০০ ডোজ টিকা দেশে এসেছে। ইতোমধ্যে টিকা দেওয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে। বুধবার (২৪ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচি (ইপিআই) কর্তৃক শিশুদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম কর্মপরিকল্পনায় এ তথ্য উল্লেখ করা হয়।

এতে বলা হয়, বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশ সরকার দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি বিবেচনা করে ২৫ আগস্ট থেকে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড-১৯ টিকাদানের আওতায় আনতে যাচ্ছে। প্রাথমিকভাবে দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এ শিশুদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে। পরে জেলা, উপজেলা ও পৌরসভাসমূহের স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে এ টিকা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যেই কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির মাধ্যমে শিশুদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে এসে পৌঁছেছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button