বিশেষ খবরবিশ্ব

শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে, সঙ্গে নেই মোমেন-পলক

রাষ্ট্রীয় সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টায় তিনি বিশেষ বিমানে ঢাকা থেকে নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছান। সেখানে ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম জারদোশ ও বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান তাকে স্বাগত জানান।

সফরসঙ্গীর তালিকায় থাকলেও শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন ও তথ্য যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী সস্ত্রীক নয়াদিল্লি সফরে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ফ্লাইটে থাকার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ‘অসুস্থতার’ কারণে তিনি সফরে যোগ দিতে পারেননি বলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আইটিসি মৌর্য হোটেলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পরে প্রধানমন্ত্রী যাবেন নিজামউদ্দিন আউলিয়ার দরগাহ পরিদর্শনে।  দরগাহ পরিদর্শন শেষে হোটেলে ফিরলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করবেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। রাতে তার সম্মানে দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেবেন।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গার্ড অব অনারের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিক অভ্যর্থনা জানাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এরপর শেখ হাসিনা রাজঘাটে গান্ধীর সমাধিস্থলে গিয়ে মাহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।

পরে হায়দরাবাদ হাউজে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমে করবেন রুদ্ধদ্বার বৈঠক, পরে করবেন একান্ত বৈঠক এবং শেষ দুই দেশের প্রতিনিধিদলসহ হবে আনুষ্ঠানিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। হবে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর এবং যৌথ ইশতেহার ঘোষণা। বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদ্বীপ ধনখড় এবং পরে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

বুধবার সকালে ভারতের নর্থ ইস্ট উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী কিষান রেড্ডি সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। পরে তিনি বাংলাদেশ ও ভারতের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে ব্যবসায়িক ফোরামে অংশ নেবেন। বিকালে তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনাসদস্য শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ বৃত্তি তুলে দেবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ সেপ্টেম্বর রাজস্থানে যাবেন। তিনি সেখানে আজমির শরিফ দরগায় মাজার জিয়ারত শেষে ওই দিন বিকালে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button