অর্থ ও বাণিজ্যবিনোদন

দূর্গাপূজা মেলার বাজার ধরতে মৃৎশিল্পীরা খেলনা তৈরিতে ব্যস্ত


মালিক উজ জামান, যশোর : দুর্গাপূজার বাজারে বিক্রির জন্য পোড়া মাটির তৈরি খেলনায় রঙ-তুলির আঁচড় দিয়ে রাঙাতে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরের মৃৎশিল্পীরা। যশোর শহরের ুবেজপাড়া পূজা মন্দিরের সামনের শৈল্পিক কাজ করছেন মৃৎশিল্পী দম্পতি চন্দন মান্না ও কল্পনা রাণী মান্না। দিন-রাত রঙ-তুলি নিয়ে নিরন্তর কাজ করে চলেছেন তারা।
শুধু বেজপাড়া পূজা না, শহরতলীর নীলগঞ্জ তাঁতিপাড়া, পুলেরহাট, শহরের অনতি দূরের দাইতলার রায়মানিক, ফতেপুরসহ বেশকিছু এলাকায় ২০ থেকে ৪০ প্রকারের মাটির খেলনায় রঙ লাগাতে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। পুরোহিত তপন ঠাকুর বলেন, ‘পৃথিবীর প্রতিটি দেশে রয়েছে যার-যার নিজস্ব সংস্কৃতি। কেন না মানুষ তার নিজস্ব সংস্কৃতি কৃষ্টির আদলেই বেড়ে ওঠে এবং সংস্কৃতিকে লালন করে। আর এসবের মূলেই রয়েছে গ্রামীণ সংস্কৃতি। যার গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে মৃৎশিল্প। বিশেষ করে বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নবববর্ষের বৈশাখী মেলাসহ যে কোনো উৎসব, পূজাপার্বণে যুগ-যুগ ধরে মাটির তৈরি পণ্য ব্যবহার করে আসছে বাঙালি। তারই ধারাবাহিতকায় প্রতিটি পূজায় মাটির তৈরির কদর থাকে অন্যরকম। মৃৎশিল্পী চন্দন মান্না বলেন, শুধু দুর্গাপূজা না, মৃৎশিল্পীদের সারাবছর কমবেশি মাটির তৈরি খেলনা বিক্রি হয়। তবে, দুর্গোৎসবে ব্যস্ততা বেশি থাকে। তিনি জানান, এঁটেল মাটির তৈরি পুতুলগুলো পোড়ানো অবস্থায় কেনেন তারা। তারপর রঙ দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করেন। তাদের রঙ করা পুতুলগুলো ভারতসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছে বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।
যশোর সদর উপজেলার রায়মানিক গ্রামের সুশান্ত কুমার চন্দ্র পাল। পূজা আসলেই তার ব্যস্ততা বাড়ে। বিশেষ করে তিনি প্রতিবছর দুর্গাপূজায় মাটির তৈরি প্রতিমা ব্যাপকভাবে বিক্রি করেন। তার তৈরি মাটির এসব জিনিসগুলো মণিরামপুর, কেশবপুর, বেনাপোল, নড়াইল, মাগুরা, ঝিনাইদহসহ আশেপাশের বিভিন্ন স্থানের খুচরা দোকানিরা কিনে পূজার মেলায় নিয়ে বিক্রি করেন। জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন ঘোষ বলেন, সনাতন ধর্মালম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দুর্গোৎসবে মন্দির ও মন্ডপে চলছে এখন প্রতিমা তৈরির কাজ। তবে, বসে নেই মাটির তৈরির জিনিসপত্রের কারিগররাও। প্রতিবছর তারা এ ধরনের খেলনাগুলো বিক্রি করেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button