শীর্ষ নিউজসংগঠন সংবাদ

কোকা-কোলা বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপন

 

 কেওক্রাডং বাংলাদেশের সাথে মিলিত ভাবে সেন্টমার্টনদ্বীপ থেকে পরিষ্কারকরা হলো ১৮০০কেজির অধিক সামুদ্রিক বর্জ্য

আয়োজনেস্বেচ্ছাসেবীহিসেবেঅংশগ্রহণকরেন৪৫০ জনেরওঅধিকমানুষ

ঢাকা, ১৭ডিসেম্বর ২০২২: কোকা-কোলা সিস্টেম বাংলাদেশএবংকেওক্রাডংবাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে সেন্টমার্টিনদ্বীপেরসমুদ্রসৈকতেকোস্টালক্লিনআপকর্মসূচিরআয়োজনকরে।ইন্টারন্যাশনালকোস্টালক্লিনআপ ও কোকা-কোলার ২০৩০ সালেরমধ্যে ‘বর্জ্যমুক্তপৃথিবী’ অর্জনেরলক্ষ্যপূরণেরঅংশহিসেবেপ্রতিষ্ঠানদু’টিগত ১২ বছর ধরেমিলিতভাবেবার্ষিকআন্তর্জাতিককোস্টালক্লিনআপেরআয়োজনকরে আসছে।ওশানকনজারভেন্সি-রহয়েবাংলাদেশেসমন্বয়কেরদায়িত্বপালনকরেকেওক্রাডংবাংলাদেশ। ওশান কনজারভেন্সি নামক আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংগঠনটি সামুদ্রিক দূষণ রোধে কাজ করে থাকে।

১২তমবছরেরএইআয়োজনে৪৫০জনের অধিকস্বেচ্ছাসেবকএইক্লিনআপপ্রকল্পেঅংশগ্রহণকরেন।অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেনসেন্টমার্টিনেরস্থানীয়সহসারাদেশেরবিভিন্নপেশারপেশাজীবীএবংবিভিন্নস্বনামধন্যবিশ্ববিদ্যালয়েরশিক্ষার্থীরা।৩৬তমবার্ষিকআন্তর্জাতিককোস্টালক্লিনআপেরসাথেসমন্বয়করেএইআয়োজনকরাহয়।সেন্টমার্টিনেরসমুদ্রসৈকতথেকেস্বেচ্ছাসেবকরাএবছর ১৮০০কেজির অধিকসামুদ্রিকবর্জ্যপরিষ্কারকরেন।এই সামুদ্রিক বর্জ্যেরবেশিরভাগই ছিল খাদ্যেরপ্ল্যাস্টিক মোড়ক, প্ল্যাস্টিক বোতল, বোতলের প্ল্যাস্টিক ঢাকনা, প্ল্যাস্টিক ব্যাগ ইত্যাদি  ।

কোকাকোলাবাংলাদেশেরব্যবস্থাপনাপরিচালকতাজিতুংবলেন, “প্লাস্টিক দূষণ একটি বৈশ্বিক সমস্যা এবং আমরাই এই সমস্যা সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিক দূষণের বিষয়টি বেশ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আমাদের নানা ধরনের উদ্যোগ আছে, তার মধ্যে এই কোস্টাল ক্লিনআপ অন্যতম। সেন্ট মার্টিনকে প্লাস্টিকমুক্ত রাখতে কেওক্রাডং বাংলাদেশ ও স্বেচ্ছাসেবীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু এই দায়িত্ব আমাদের সবার। সেন্ট মার্টিনে বেড়াতে আসা প্রত্যেকেরই এই এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষার ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া উচিত। এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে মানুষ আরও সচেতন হয়ে উঠবে এবং আমরা একটি বর্জ্যমুক্ত পৃথিবী অর্জন করতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।”

ওশানকনজারভেন্সিরবাংলাদেশঅঞ্চলেরসমন্বয়কমুনতাসিরমামুনবলেন, “প্রতি বছর লাখো মানুষ সেন্ট মার্টিন দ্বীপে বেড়াতে আসেন। কাজেই এই দ্বীপকে পরিষ্কার রাখা এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ করা আমাদের সবার দায়িত্ব। কোকা-কোলার সহায়তায় আমরা গত ১২ বছর ধরে এই উদ্যোগ পরিচালনা করে আসছি। কিন্তু আমাদের প্রত্যেকের নিজের নিজের জায়গা থেকে কাজ করে যেতে হবে, যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই দ্বীপকে পরিচ্ছন্ন রাখতে পারি। একসাথে কাজ করার মাধ্যমেই আমরা একটি পরিষ্কার ও বাসযোগ্য পৃথিবী অর্জন করতে পারবো।”

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button