শিক্ষাসংগঠন সংবাদ

১৩৩ বছরে সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন অপরুপ সাজে নবরুপ


মালিক উজ জামান, যশোর : দেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যশোরের সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের প্রতিষ্ঠা স্মরণে রবিবার ১লা জানুয়ারি ‘সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবস’ পালন করা হবে। এ উপলক্ষে অপরুপ সাজে সজ্জিত করা হয়েছে স্কুল প্রাঙ্গন। নানা রংয়ের আলোকসজ্জায় সজ্জিতই শুধু নয়, হরেক রকম ফেষ্টুনে পুরো প্রাঙ্গন নতুন রুপে সেজে উঠেছে। সুবিশাল মঞ্চের রয়েছে ব্যতিক্রমী এক ব্যাকগ্রাওন্ড। যা এবারই প্রথম।
এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচির হাতে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দশটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে কর্মসূচী শুরু হয়। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তারাপদ দাস এবং বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী (এসএসসি ১৯৫৪ ব্যাচ) ধূর্জ্জটি প্রসাদ দাস।
বিকাল সাড়ে তিনটায় প্রাক্তন তিন কৃতি শিক্ষার্থী ড. মুস্তাফিজুর রহমান (এসএসসি ১৯৬৪ ব্যাচ), অধ্যাপক ডা. আব্দুর রশিদ (এসএসসি ১৯৬৭ ব্যাচ) ও মেজর জেনারেল (অব.) আবু ইসহক ইব্রাহীম (এসএসসি ১৯৭০ ব্যাচ) সহ ২০২২ মাধ্যমিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত এবং বিদ্যালয়টির অন্য শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকারী ছাত্রদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। একই সাথে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকেও ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যশোর শহরের লোন অফিস পাড়ায় ১৩৩ বছর আগে ১৮৮৯ সালে রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদার প্রতিষ্ঠা করেন সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন। একই সময়ে বিদ্যালয়টি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী স্বীকৃতি লাভ করে।
১৯৫২’র ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক ছাত্র অংশ নিয়েছে। শহীদ হয়েছে অন্তত ১০ জন ছাত্র। প্রখ্যাত উপন্যাসিক নিমাই ভট্টাচার্য্য, ডা. সূর্য্য কুমার মজুমদার, ড. সৈয়দ আকরাম হোসেনের মতো অসংখ্য গুণী এই প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন ছাত্র। ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠার ১২৫ বছর পূর্তি উৎসব পালন শেষে আজকের দিনটিকে ‘সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন দিবস’ বা সম্মিলনী ডে ঘোষণা করে‘ সম্মিলনী ইনস্টিটিউশন প্রাক্তন ছাত্র পরিষদ’।
১৯৯০ এর গণ আন্দোলন যা ১৯৮৪ সালের পর শুরু হয় সেই আ্েন্দালনে সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনের অনেক ছাত্র প্রত্যক্ষ বা সক্রিয় অংশ গ্রহন করে।
সম্মিলনী ইনস্টিটিউশনের বর্তমান প্রধান শিক্ষক এবং একই প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ১৯৮৬ ব্যাচের ছাত্র মিহির কান্তি দাস জানান, ১৮৮৯ সালের এক শুভ ক্ষনে ক্ষণজন্মা পুরুষ রায় বাহাদুর যদুনাথ মজুমদারের প্রচেষ্ঠায় যাত্রা শুরু করে এই বিদ্যাপীঠ। তখন থেকে আজ পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠান অগণিত শিক্ষার্থীকে জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করে চলছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button