খেলা

বিশ্বকাপের প্রভাব, মানসিকভাবে শতভাগ ফিট নন লরিস

বিশ্বকাপের উন্মাদনা শেষে এখন পুরোদমে চলছে ক্লাব ফুটবল। বিশ্ব মঞ্চে জাতীয় দলের হয়ে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির অনুভূতি পেছনে ফেলে ফুটবলাররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ক্লাব ফুটবলে। তবে কাতার থেকে ফেরার পর থেকে ঠিক যেন চেনা যাচ্ছে না হুগো লরিসকে।

টটেনহ্যামের হটস্পারের হয়ে এই সময়ে করেছেন কয়েকটি বড় ভুল। এর পেছনে বিশ্বকাপের ক্লান্তিকে বড় করে দেখছেন সাবেক ফরাসি গোলরক্ষক। ২০১৮ সালে বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার মনে করেন, এবারের বিশ্বকাপে একদম শেষ পর্যন্ত খেলার পর এখনও মানসিকভাবে ফিট হতে পারেননি তিনি।

বিশ্বকাপে ফ্রান্সের সাতটি ম্যাচের ছয়টিতে খেলেন লরিস। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়া ফাইনালে পুরোটা সময় জুড়েই মাঠে ছিলেন তিনি।

বিশ্বকাপ শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান লরিস। গত ১ জানুয়ারি টটেনহ্যামের হয়ে মাঠে ফেরেন তিনি। এরপর থেকে চারটি ম্যাচে এমন কিছু ভুল করেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়, যা তার মাপের একজন গোলরক্ষকের কাছ থেকে অপ্রত্যাশিত।

সবশেষ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে গত বৃহস্পতিবার ৪-২ গোলে হেরে যায় টটেনহ্যাম। সিটির হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন রিয়াদ মাহরেজ, গোলটিতে খুব সহজেই পরাস্ত হন লরিস। এর আগে অ্যাস্টন ভিলা ও আর্সেনালের বিপক্ষেও দৃষ্টিকটু ভুল করেন তিনি।

ক্রীড়ার তথ্য-উপাত্ত সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান অপটার তথ্য অনুযায়ী, লরিসের ভুল থেকে তার দল চারটি গোল হজম করেছে। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচটি লিগের গোলরক্ষকদের মধ্যে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়েই চলতি মৌসুমে যা সর্বোচ্চ।

নিজের দায় স্বীকার করে লরিস বললেন মানসিক ক্লান্তির কথা। ইভিনিং স্ট্যান্ডার্ডকে গত শুক্রবার দেওয়া এক সাক্ষাৎকার তিনি বলেন, বিশ্বকাপের পর প্রাণশক্তি ফিরে পেতে লড়তে হচ্ছে তাকে।

তিনি বলেন, ভুলগুলোর বিষয়ে আমি মেনে নিচ্ছি। একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে একটা ছন্দ ধরে এগোতে হবে। জাতীয় দলে যোগ দিয়ে এবং বিশ্বকাপের শেষ দিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার পর ক্লাবে ফিরে মানসিক সতেজতা খুঁজে ফেরা স্বাভাবিকই। কিন্তু কক্ষপথে ফিরে আসতেই হবে।

লরিস মনে করেন, যদি আর্সেনাল গোলের দিকে তাকান, তাহলে দেখবেন যে আমি ভালো অবস্থানে থাকতে পারতাম, কিন্তু একজনের গায়ে লেগে বলটি আমার বুকে আঘাত করে এবং স্পিন করে গোললাইন পেরিয়ে যায়। এটা এমন কিছু যা আমি ইচ্ছাকৃতভাবে করতে চাইলেও পারতাম না। এমনকি বৃহস্পতিবার, আমরা যদি (সিটির) তৃতীয় গোলটি দেখি, সেখানে একজনের গায়ে লাগার কারণে বলটি আমার হাঁটুর ওপর দিয়ে চলে যায়।

এই মৌসুমে ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে এখন পর্যন্ত ২০ ম্যাচে ৩১টি গোল হজম করেছে টটেনহ্যাম, ২০০৭-০৮ মৌসুমের পর যা ক্লাবটির সর্বোচ্চ (৩৬ গোল)।  লিগে নিজেদের সবশেষ চার ম্যাচের তিনটিতে হারা টটেনহ্যামের পরের ম্যাচ আগামী সোমবার, ফুলহ্যামের বিপক্ষে। ২০ ম্যাচে ৩৩ পয়েন্ট টেবিলে পঞ্চম স্থানে আছে আন্তোনিও কন্তের দল।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button