আঞ্চলিকশীর্ষ নিউজ

লিভারে টিউমার-শরীরে ক্যান্সার, বাঁচতে চায় শিশু মেহেরাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যে বয়সে শিশুরা হৈ হুল্লোড় করে ঘর-পাড়া মাতিয়ে রাখে। আনন্দময় শৈশব উপভোগ করে, সে বয়সে জীবন বাঁচার আকুতি কতটা বেদনাদায়ক সে শিশুই জানে। ১০ বছরের শিশু মেহেরাজ মুনতাসির, পড়েন দ্বিতীয় শ্রেণিতে। হাসি খুশি আর দুরন্তপনা শিশুটির চোখে মুখে বিষাদের ছাপ। অতটুকু শিশুর বেঁচে থাকার কথা শুনলে যে কারো হৃদয় যে ডুকরে কাঁদবেই তাতে সন্দেহ নেই।

বাঁচার আকুতি আর নিদারুণ দৃশ্যে আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠেছিলো কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের (১ নম্বর ওয়ার্ড) ক্বারী শফিক আহম্মদের বাড়ি। যদিও বর্তমানে শিশুটি থাকেন নানার বাড়িতে। নিজ বাড়ি পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড বুধপুরা গ্রামের আহমদ হাজীর বাড়ি। পিতার নাম মো. মহি উদ্দিন। তিনি একজন ক্ষুদ্র দোকানদার।

এই বয়সেই মেহেরাজের শরীরে বাসা বেঁধেছে মরণঘাতি রোগ ক্যান্সার। চিকিৎসা করানো হয় ঢাকার হেলথ এন্ড হোপ হাসপাতাল। এরপর ২০১২ সালে ভারতের ভেলোর খ্রিস্টান মেডিকেল কলেজ (সিএমসি)। ওখানকার ডাক্তারও জানালেন-মেহেরাজের বাম কিডনিতে টিউমার।

২০১৮ সালে কিডনির পাশে টিউমার ধরা পড়লে তা অপারেশন করানো হয়। এতে কেটে ফেলতে হয় কিডনি। কেননা শরীরে ক্যান্সার দানা বেঁধেছিলো। চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হসপিটালে চিকিৎসা করানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মেহরাজের শরীর থেকে টিউমার কেটে ফেলে দিলেও এখন ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি।

ওদিকে, গত ১০ বছর ধরে ছেলের চিকিৎসা খরচ চালিয়ে নিঃস্ব বাবা। সন্তানের অসুস্থতার চিকিৎসা করাতে গিয়ে শান্তিরহাট থাকা দোকানও বিক্রি করে দিতে হয়। এখন চাকরি খুঁজছে তিনিও। আগামী ৭ই ফেব্রুয়ারি নগরীর আগ্রাবাদ শিশু হাসপাতালে পুনরায় ছেলেকে ভর্তি করাতে হবে। নিঃস্ব বাবার পক্ষে সামর্থ্য না থাকায় মেহেরাজের জীবন এখন শঙ্কায়। পিতার চোখে মুখে অন্ধকার।

যদিও বিছানায় পড়ে থাকা মেহেরাজ কান্নাজড়িত কন্ঠে জানায়, ‘আমার খুব ভয় হয়। আমি মরতে চাই না, আমি বাঁচতে চাই। পড়াশোনা করে বড় হতে চাই। গ্রামের সব বন্ধুদের সাথে খেলতে চাই। সবাই যদি একটু সহযোগিতা করত, তাহলে হয়তো আমি বেঁচে যেতাম।’

মেহেরাজের জীবন বাঁচাতে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছেন। মানবিক ও বিত্তবানশীলদের আরও সহযোগিতা কামনা করছে ওই পরিবারটি। ছেলেটির মায়ের বিকাশ নং: ০১৮৬৫-৯৬৭৫২২

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button