বিশেষ খবরবিশ্ব

কানাডায় সড়ক দুর্ঘটনা : অ্যাঞ্জেলার জন্য প্রার্থনা আজ, শাহরিয়ার ও দীপ্তর জানাজা কাল

কানাডার স্থানীয় সময় আজ রবিবার এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈর জন্য প্রার্থনা এবং আগামীকাল সোমবার শাহরিয়ার মাহির খান ও আরিয়ান আলম দীপ্তর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।

টরন্টোর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত এঞ্জেলা শ্রেয়া বাড়ৈ’র প্রার্থনা এবং ভিউয়িংয়ের (শেষ দর্শন) আয়োজন করা হয়েছে আজ রবিবার ইটোবিকোকের ১২১ সিটি ভিউ ড্রাইভে অবস্থিত লোটাস ফিউনারেল অ্যান্ড ক্রিমেশন সেন্টারে। স্থানীয় সময় আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই আয়োজন করা হবে।

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত শাহরিয়ার মাহির খান এবং আরিয়ান আলম দীপ্তর নামাজে জানাজা আগামীকাল সোমবার বাদ জোহর স্কারবোরোর ১ স্টামফোর্ড স্কয়ার নর্থে অবস্থিত মসজিদ আল-আবেদীনে অনুষ্ঠিত হবে।

নিহতদের লাশ বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগর জানান, এঞ্জেলা বাড়ৈ’র লাশ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থাপনা করছে ‘লোটাস  ফিউনারেল এবং ক্রিমেশন সেন্টার’ নামে একটি ফিউনারেল সার্ভিসেস প্রতিষ্ঠান।

তিনি জানান, লোটাস ফিউনারেলের অপারেশনার ফিউনারেল ডিরেক্টর হারমিন্দর হানসি তাকে বলেছেন,আগামী সপ্তাহে তারা অ্যাঞ্জেলার শবদেহ বিমানে তুলে দিতে পারবেন বলে আশা করছেন। সোমবার কানাডায় সরকারি ছুটি এবং কিছু আনুষ্ঠানিকতা বাদ থাকায় এই মুহূর্তে সুনির্দিষ্টভাবে ফ্লাইটের তারিখ তারা বলতে পারছেন না। তবে একটা বুকিং দেওয়া আছে বলে উল্লেখ করলেও সেটি প্রকাশ করতে তিনি সম্মত হননি।

অ্যাঞ্জেলার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী ২৪ ফেব্রয়ারি বা ২৫ ফেব্রুয়ারি টার্কিশ এয়ারওয়েজে অ্যাঞ্জেলার শবদেহ বাংলাদেশের নিয়ে যাবার প্রস্তুতি চলছে। তার আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি অ্যাঞ্জেলার বাবা ঢাকায় ফিরে যাবার চেষ্টা করছেন।

শাহরিয়ার খান এবং আরিয়ান দীপ্তর শবদেহ অন্টারিওর করোনার অফিস থেকে ইকো ক্রিমেশন অ্যান্ড বারিয়াল সার্ভিসেস ইনকের কাছে দেওয়া হয়েছে। এই দুইজনের শবদেহ দেশে পাঠানোর ব্যবস্থাপনা করবে এই প্রতিষ্ঠান।

ইকো ক্রিমেশন অ্যান্ড বারিয়াল সার্ভিসেসের ফিউনারেল ডিরেক্টর নাথান রমাগনলি জানিয়েছেন, পরিবারের অনুমোদন না থাকায় তাদের শবদেহ কখন কীভাবে দেশে পাঠানো হবে এই ব্যাপারে তিনি কোনো তথ্য জানাতে পারছেন না।

অন্যদিকে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবিড় কুমার দে’ এর অবস্থা একটু উন্নত হলেও শঙ্কা এখনো কাটেনি। টরোন্টোর সেন্ট মাইকেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসকরা তার শরীরের বিভিন্ন অংশ ক্যামেরার মাধ্যমে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। কুমার বিশ্বজিতের দম্পতি বর্তমানে টরোন্টোতে অবস্থান করছেন।

এদিকে দুর্ঘটনায় সম্ভাবনাময় তিনটি তাজা প্রাণের ঝড়ে যাওয়া আর একজনের প্রাণ বাঁচানোর তীব্র লড়াইয়ের ঘটনায় কেবল কানাডা নয়, সারাবিশ্বের বাংলাদেশিদের শোকবিহ্বল করেছে। পরিবারগুলো কী অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে- সেটা ভেবে অসংখ্য মানুষ আহাজারি করছে। এই সময়ে ‘আন ফাউন্ডেড কোনো তথ্য’ সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে নিজেদের অসংবেদনশীলতাকে নগ্ন না করার আহ্বান জানিয়েছেন কানাডার নতুন দেশ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শওগত আলী সাগর।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button