চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

কর্ণফুলীতে মা-ছেলে হত্যা: ঘটনার মূল হোতা মোসলেম ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে জমির সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ নিয়ে বিরোধের জেরে মা ও ছেলেকে কুপিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত রাত ৯ টায়  তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি মো. দুলাল মাহমুদ।

গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন-শিকলবাহা ইউনিয়নের ইসমত হাজীর বাড়ীর মৃত মোহাম্মদ আলীর পুত্র মোঃ মোসলেম (৩৮) এবং একই ইউনিয়নের দ্বীপকালার মোড়ল এলাকার কামাল বাড়ীর জামাল আহমদ এর স্ত্রী মনোয়ারা বেগম(৪২)। এরা এজাহারনামীয় ২ নং ও ৯ নং আসামি। এ ঘটনায় এর আগে আরও ৪ জন গ্রেপ্তার ছিলেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শফিউল আলম জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে সিএমপি বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনারের দিকনির্দেশনা ও অফিসার ইনচার্জের নির্দেশে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় শুক্রবার গভীর রাতে রাজধানী ঢাকার দক্ষিণখান এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হচ্ছে। শিগগরই আদালতে পাঠানো হবে।

গত ২৫ এপ্রিল কর্ণফুলী উপজেলা শিকলবাহা ইউনিয়নের ব্লকপাড় মাস্টারহাট এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মা ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করেছে প্রতিবেশিরা। নিহতরা হলেন-শিকলবাহা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইসমত হাজী বাড়ির তৈয়ব আহম্মদ সওদাগরের স্ত্রী হোসনেরা বেগম ও ছেলে পারভেজ উদ্দিন।

২৬ এপ্রিল বিকেলে নিহত হোসনেরা বেগমের বড় ছেলে জাফর আহমদ (৩২) বাদী হয়ে মো. মহসীনকে প্রধান আসামি করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

কর্ণফুলী থানার ওসি মো. দুলাল মাহমুদ জানান, ‘মা ছেলেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল আসামিকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সিএমপি বন্দর জোনের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সুলতানা দুইজনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘এ ঘটনায় মোট ৬ জন গ্রেপ্তার রয়েছে। বাকিদেরও শিগগরই আইনের আওতায় আনা হবে। জমি জামার বিরোধে পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে।’

ওদিকে, হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি মোসলেম ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছে এ খবর শোনে এলাকার সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ফিরেছে। পুলিশের ওপর কর্ণফুলী এলাকার মানুষের আস্থা বেড়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button