খেলা

লক্ষ্ণৌকে বিদায় করে টিকে রইল মুম্বাই

আইপিএলের এলিমেনটর পর্বে বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের করা ৮ উইকেটে ১৮২ রানের জবাবে ১০১ রানেই গুটিয়ে যায় লক্ষ্ণৌ। মুম্বাইয়ের হয়ে ৩.৩ ওভারে মাত্র ৫ রান দিয়ে একাই ৫ উইকেট শিকার করেন আকাশ। আইপিএলের ইতিহাসে এতো কম খরচে ফাইফারের দেখা পেয়েছেন কেবল অনিল কুম্বলে। ২০০৯ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে ৫ রান দিয়ে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই লেগ স্পিনার।

চেপক স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বাই। প্রথম কোয়ালিফায়ারে আগে ব্যাট করেই জয়ী হয়েছিল চেন্নাই সুপার কিংস। সেই পথ অনুসরণ করে সফল হয় মুম্বাই। যদিও ৩৮ রানের ভেতরেই দুই ওপেনার রোহিত ও ইশান কিষাণকে হারায় তারা। এরপর হাল ধরেন ক্যামেরন গ্রিন ও সূর্যকুমার যাদব। তৃতীয় উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েন তারা। তাতে দুইশর পথেই এগোচ্ছিল মুম্বাই। কিন্তু নাভিন উল হকের করা ১১ তম ওভারে দুজনকেই ফিরতে হয় সাজঘরে। গ্রিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ ও সূর্য বিদায় নেন ৩৩ রান করে। মাঝে রানের গতি কমে গেলেও নেহাল ওয়াদেরার ১২ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় মুম্বাই। লক্ষ্ণৌয়ের হয়ে নাভিন ৪টি ও যশ ঠাকুর নেন ৩ টি উইকেট।

তাড়া করতে নেমে লক্ষ্ণৌয়ের কোনো ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪০ রান আসে কেবল মার্কাস স্টইনিসের ব্যাট থেকে। বাকিরা ২০ এর ঘরও পেরোতে পারেননি। তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামানোর শুরুটা করেন আকাশ। শেষটাও তার হাতধরে। এর মাঝে প্রেরাক মানকড়, আয়ুশ বাদোনি, নিকোলাস পুরান, রবি বিষ্ণোই ও মহসিন খানকে শিকার করেন তিনি।  তাতে ২১ বল হাতে রেখেই অলআউট হয় লক্ষ্ণৌ।

 

এদিকে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে আগামী ২৬ জুন গুজরাট টাইটান্সের মুখোমুখি হবে মুম্বাই।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button