শীর্ষ নিউজ

টানা বৃষ্টিতে বিশ্বনাথে আকস্মিক বন্যার শঙ্কা

টানা চার দিন ধরে ভারী বৃষ্টিপাতে অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলেছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাল-বিল, নদী- নালা ও হাওরের পানি। সেই সাথে উজান থেকে নেমে আসা ঢলে বাড়ছে এ পানির মাত্রা। ইতিমধ্যে প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নাঞ্চল। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে, গত বছরের ন্যায় ফের অকস্মিক বন্যার শঙ্কা করছেন উপজেলাবাসী। বন্যা মোকাবেলায় ইতিমধ্যে প্রস্তুতি গ্রহণ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

গেল শুক্রবার (১৬ জুন) থেকে শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। রাত-দিন থেমে থেমে বিরামহীন ভারী বৃষ্টিপাতে, ফুলে-ফেঁপে ওঠে উপজেলার হাওর, খাল-বিল, নদী-নালার পানি। বিপদসীমা অতিক্রম করে লামামাকাজী ইউনিয়ন ঘেঁষে প্রবাহিত সুরমা নদী ও উপজেলা সদর দিয়ে প্রবাহিত বাসিয়া নদীর পানি। তলিয়ে যায় অনেক এলাকার নিম্নাঞ্চল ও রাস্তা-ঘাট। ইতিমধ্যে অনেকে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে ব্যবস্থা নিয়েছেন চলাচলের। এদিকে টানা বৃষ্টিতে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন দিনমজুর মানুষেরা। স্থবিরতা নেমেছে জনজীবনে। সম্প্রতি বজ্রপাতে হতাহতের ঘটনা ঘটায় বৃষ্টিতে বাহিরেও যাচ্ছেন না মানুষ। সংকট দেখা দিয়েছে গো-খাদ্যের। অসন্ন ঈদুল আযহা সামনে রেখে কোরবানির পশু নিয়েও শঙ্কায় রয়েছেন খামারিরা।

অনেকে জানান, ‘গত বছরের বন্যার ধকলও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তারা। এর মধ্যে বেড়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় সকহ জিনিসপত্রের দাম। আয়-রোজগারও নেই আগের মতো। এবার ফের বন্যা হলে উপোস করেই মরেত হবে আমাদের।’

এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান বলেন, আমাদের চাল ও কিছু নগদ অর্থ মজুদ রয়েছে। সেই সাথে প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৫৬টি আশ্রয় কেন্দ্র। বন্যা দেখা দিলে, সে পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আজকেও দুর্যোগ কমিটির সভা আছে। সভায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button