রাজনীতিশীর্ষ নিউজ

১৯ থেকে ২১ জুলাই ঢাকা-চট্টগ্রামে রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা গণতন্ত্র মঞ্চের

গণতন্ত্র মঞ্চের সচিবালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। মিছিল-পূর্ব সমাবেশ থেকে আগামী ১৯ জুলাই থেকে ২১ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডমার্চ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর জিরো পয়েন্ট মোড়ে তাদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা। সেখানে তারা মিছিল পূর্ব প্রাথমিক বক্তব্য রাখেন। পরে দুপুর ১২টার দিকে তারা সচিবালয় অভিমুখে মিছিল নিয়ে রওনা হন। মিছিলটি প্রেস ক্লাব থেকে পল্টন মোড় হয়ে জিরো পয়েন্ট মোড়ে গেলে পুলিশের পক্ষ থেকে সেখানে তাদের বাধা দেওয়া হয়।

ভয়াবহ লোডশেডিং বন্ধ করা, বিদ্যুৎ সংকট সমাধান করাসহ খাদ্যপণ্যের দাম কমিয়ে মানুষের জীবন বাঁচানোর দাবিতে এই বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণ সংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এ বছর বাংলাদেশে যত মুদ্রার ঘাটতি দেখা গেছে তা গত কয়েক বছরে হয়নি। এ সরকারের কাছে বাংলাদেশের জনগণ বিদ্যুৎ পাবেন না, নিরাপত্তা পাবেন না, ভোট দিতে পারবেন না। এ সরকারের যাবার সময় হয়েছে। এ সরকার হচ্ছে স্বৈরাচারী, বদমাশ, লুটপাটের সরকার। এ সরকার আগে আমাদের ভয় দেখাত। জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানা কায়দা দেখাত। এজন্যই আমরা বলি, তোমাদের সময় হয়েছে, তোমরা এবার যাও।

আ স ম আব্দুর রব বলেন, এ দেশের অর্থনীতির অবস্থা খুবই খারাপ। জনগণের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে এ সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। এ সরকারকে আগে পদত্যাগ করতে হবে। এ মুহূর্তে দরকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের পায়ের তলে মাটি নেই।

মিছিলে বাধা দেওয়ায় গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মীরা পুলিশের বেরিকেট ভেঙে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করেন। সেখানে এক দফা ধস্তাধস্তিও হয়। পরে তারা আব্দুল গনি রোডের জিরো পয়েন্ট মোড়ে বসে সমাবেশ শুরু করেন।
কর্মসূচী ঘোষণা করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আগামী ১৯ থেকে ২১ জুলাই গণতন্ত্র মঞ্চ ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখ রোড মার্চ করবে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, মানুষ বিদ্যুৎ সংকটে নাকাল অবস্থায় আছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখীতে তারা কুপোকাত হয়েছেন। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দেওয়ার নামে সরকার যা করল; এখন বিদ্যুতের দাম কত হয়েছে তা আপনারা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন। সমস্ত পণ্য তৈরি করতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হয়। ফলে সব জিনিসের দাম বিদ্যুতের দাম বাড়ার ফলে বেড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংকটকে কাজে লাগিয়ে সরকার পয়সা হাতে নেওয়ার ব্যবস্থা করছিল। এ পয়সা ১/২ পয়সা নয়, হাজার কোটি টাকা।

সাইফুল হক সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, গরিবকে আরও গরিব বানানোর প্রজেক্ট বর্তমান বাজেট। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চ বলছি, এখনো আপনাদের নিরাপদে সরে যাওয়ার একটি রাস্তা খোলা আছে। এখন পর্যন্ত সংকট সমাধানের রাস্তা খোলা আছে। এর মধ্যে যদি সরকার ব্যবস্থা না নেয়, তবে ঈদের পর গণতন্ত্র মঞ্চ আরও শক্তিশালী হবে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button