বিশেষ খবরবিশ্ব

যে উদ্দেশ্যে পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাশিয়া যাচ্ছেন কিম

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাশিয়া সফরের পরিকল্পনা করছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। চলতি মাসেই এই সফর হতে পারে এবং পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের বিষয়ে আলোচনা করতে পারেন কিম।

মার্কিন এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

যদিও রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহের মতো যেকোনও পরিকল্পনার বিরুদ্ধে পিয়ংইয়ংকে আগেই সতর্ক করে দিয়েছে আমেরিকা।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন চলতি মাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে রাশিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন।

এই দুই নেতা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনে উত্তর কোরিয়ার সহায়তার অংশ হিসেবে মস্কোকে অস্ত্র সরবরাহ করার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ওই কর্মকর্তা বলেছেন। যদিও পরিকল্পিত এই বৈঠকের সঠিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়।

অন্যান্য মার্কিন মিডিয়াতে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং সম্ভাব্য এই সফরের বিষয়ে উত্তর কোরিয়া বা রাশিয়া থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। বেশ কয়েকটি সূত্র প্রভাবশালী মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছে, কিম জং উন সম্ভবত সাঁজোয়া ট্রেনে করে রাশিয়া সফরে যাবেন।

এর আগে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে অস্ত্র সমঝোতা ‘সক্রিয়ভাবে অগ্রসর’ হওয়ার বিষয়ে নতুন তথ্য রয়েছে। আর সেই মন্তব্যের কয়েকদিন পরই পুতিন ও কিমের সম্ভাব্য এই বৈঠকটির খবর সামনে এল।

মূলত রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে সম্ভাব্য অস্ত্র চুক্তি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র জন কিরবি গত সপ্তাহে জানিয়েছিলেন।

সেসময় তিনি বলেন, “আমরা উত্তর কোরিয়াকে রাশিয়ার সাথে অস্ত্র আলোচনা বন্ধ করার এবং পিয়ংইয়ং ইতোপূর্বে রাশিয়ার কাছে অস্ত্র সরবরাহ বা বিক্রি না করার জন্য যে প্রকাশ্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করছি।”

কিরবি আরও বলেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু উত্তর কোরিয়া সফর করার সময় কিম জং উনের সাথে দেখা করে পিয়ংইয়ংকে মস্কোর কাছে আর্টিলারি গোলাবারুদ বিক্রি করতে রাজি করার চেষ্টা করেছিলেন। অবশ্য মার্কিন কর্মকর্তারা কীভাবে এই গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছেন তা বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেছিলেন হোয়াইট হাউসের এই মুখপাত্র। সূত্র: বিবিসি

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button