বিশেষ খবর

বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে : স্পিকার

 

সেপ্টেম্বর, ২০২৩ (বাসস) : জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, অন্তর্ভূক্তিমূলক উন্নয়নের কারণে বৈশ্বিক মন্দার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে। অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২৬ সালের মধ্যেই বাংলাদেশের এলডিসি লিস্ট থেকে উত্তরণ হবে।
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’-এ টেকসই পন্থায় অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করার উপায় রয়েছে।
স্পিকার আজ রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানার্স আয়োজিত ‘৩য় ইন্ট্যারন্যাশনাল কনফারেন্স অন আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর প্রেসিডেন্ট  মো. ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’ এর উপর মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ মেহেদী আহসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে জাইকা বাংলাদেশের চীফ রিপ্রেজেনটেটিভ ইচিগুচি তমহিদি, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশ প্রতিনিধি এম্বাসেডর চার্লস হোয়াইটলি এবং গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জায়েদা খাতুন বক্তব্য রাখেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় ও বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে টেকসই উন্নয়নের জন্য স্থানিক পরিকল্পনার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি জেলা ও উপজেলার স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে অর্থনৈতিক পরিকল্পনা প্রণয়নের পর্যায়গুলোতে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ প্ল্যানার্সকে সম্পৃক্ত করার ব্যাপারে নিজের মতামত প্রদান করেন।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন, দারিদ্র্য বিমোচন, লিঙ্গ সমতার মত বৈশ্বিক জনগুরুত্বপূর্ণ প্রতিটি বিষয়েই বিশেষজ্ঞ মতামতের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তিনি বলেন, একটি স্মার্ট দেশে পরিণত হওয়ার জন্য বাংলাদেশেই প্রয়োজনীয় দক্ষ মানবসম্পদ রয়েছে। তাই ঊন্নয়ন কাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এদেশের দক্ষ ও যোগ্য পরিকল্পনাবিদদের সম্পৃক্ত করতে হবে।
স্পিকার বলেন, নগরীতে অবকাঠামো নির্মাণের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস যাতে চলাচল করতে পারে সেজন্য নির্দিষ্ট দূরত্ব বিবেচনা করে স্থাপনা তৈরি করতে হবে। এতে করে সূর্যালোক কাজে লাগিয়ে আমরা প্রতিদিনের বিদ্যুতের ব্যয়ের উপর চাপ কমাতে পারি। তিনি বলেন, হাউজিং কোম্পানিগুলোর মাধ্যমে বসতবাড়ি নির্মাণে শিশুদের জন্য খেলার মাঠ নিশ্চিত করতে হবে।
স্পিকার বলেন, পরিকল্পনাবিদদের সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে।
এসময় স্পিকার ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’ অফিসিয়াল ঘোষণা দেন এবং এ অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। স্পিকার বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব প্ল্যানার্স এর অর্থায়নে ঢাকা ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ড উদ্বোধন এবং ‘স্পেশিয়াল প্ল্যানিং ফ্রেমওয়ার্ক’ নামক একটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।
এ বৈঠকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, এনজিও ও ফাউন্ডেশনের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিসহ আমন্ত্রিত অতিথি, দেশবরেণ্য সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button