অর্থ ও বাণিজ্যশীর্ষ নিউজ

জয়পুরহাটে বাজারে শীতের সবজি : দাম কমতে শুরু করেছে

 

জয়পুরহাট , ১২ নভেম্বর, ২০২৩(বাসস) : জেলার হাট-বাজার গুলোতে শীতের সবজি বিশেষ করে  কপি, মূলা, বেগুন, ধনিয়াপাতা, গাজর, লাউসহ অন্যান্য সবজির আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দামও কমতে শুরু করেছে।
জেলার বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, কৃষকরা অধিক লাভের আশায় আগাম জাতের সবজি চাষ করে থাকেন। ফলে প্রথম দিকে সবজির বাজার চড়া থাকলেও বর্তমানে আমদানি বেশি হওয়ায়  দাম কমতে শুরু করেছে।  জেলা শহরের পূর্ব বাজার মাছ বাজার এবং পাইকারী বাজার নতুনহাটের সবজি বাজার  ঘুরে জানা যায়, বেগুন ৮০ টাকা কেজি থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা,  মূলা ৫০ টাকা কেজি থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি,  ফুলকপি ১২০ টাকা কেজি থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা টাকা,  বাধাকপি ৬০ টাকা থেকে ৫০ টাকা , ভারতীয় পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, দেশী পেঁয়াজ ১৫০ টাকা থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা, নতুন ওঠা পাতা  পেঁয়াজ ১০০ টাকা কেজি থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা,  শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা,  মিষ্টি কুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি , লাউ প্রতি পিচ ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, গাজর ১৪০ টাকা কেজি, আলু এস্টরিক ৫৫ টাকা কেজি থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, দেশী পাকরী জাতের আলু ৬৫ থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি, পেঁপে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, কচুর লতি ৬০ টাকা কেজি থেকে এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, ৭০ টাকা কেজির পটল এখন ৪০ টাকা, ১২০ টাকা কেজির শিম এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঝিঙা ৪০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা, মরিচ ১৪০ টাকা, আদা ২৬০ টাকা, রসুন ২৮০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। এ ছাড়াও ধনিয়াপাতা ২০০ টাকা কেজি, পালং শাক ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী  বিক্রেতা  আসলাম হোসেন,  তুহিন ইসলাম বলেন, বাজারে শীতের সবজির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।  এ ছাড়াও  সোনালী জাতের মুরগি ২৮০ টাকা কেজি, বয়লার ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি, গরুর মাংস ৭০০ টাকা, রুই প্রকার ভেদে সাড়ে ৩শ থেকে সাড়ে ৫শ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে । বর্তমান বাজারে মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৪ টাকা কেজি, কাটারী স্থানীয় জাত ৬২ থেকে ৬৪ টাকা কেজি, কাটারী পদ্মা সুপার জাত ৭০ টাকা কেজি, বিআর ২৮ জাত ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, বিআর ৪৯ জাত ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা, স্বর্ণ ৫ জাতের চাল ৫০ থেকে ৫২ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র  জানায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের নিবিড় বার্ষিক ফসল উৎপাদন কর্মসূচির আওতায় জেলায় সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রার নির্ধারণ করা  রয়েছে  ৫ হাজার  হেক্টর জমিতে। সব মিলে এবার সবজির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার ৮৭৬ মে.টন। যা জেলার  চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে  পাঠানো হেয়েছে। আগাম জাতের সবজি বাজারে ওঠার সময় প্রথম দিকে দাম কিছুটা চড়া থাকলেও বর্তমানে বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।  আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাজারে আরও শীতের সবজির আমদানি ঘটবে এবং দাম আরও কমে যাওয়ার সম্ভানা রয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ রাহেলা পারভীন বলেন, জয়পুরহাটের কৃষকরা আগাম জাতের সবজি চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। বাজারে সবজির আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমছে বলেও জানান তিনি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button