চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ

ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। তবে এখনো পর্যন্ত কোথাও কোনো যানজটের সৃষ্টি হয়নি। এর ফলে কোনোরকম দুর্ভোগ ছাড়াই নির্বিঘ্নে ঘরমুখো যাত্রীরা তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারছেন।

এদিকে গতকাল সোমবার থেকেই ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। রাতের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে সকালের আগেই পুরো মহাসড়ক অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়ে।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে এমনই চিত্র লক্ষ্য করা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল থেকেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার ফলে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। তবে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য তারা বৃষ্টির মধ্যেই যে যেভাবে পারছেন গ্রামের দিকে ছুটছেন। এদিকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বাস মালিকদের বিরুদ্ধে।

সাহাদাত হোসেন নামের এক যাত্রী জানান, যাত্রীদের চাপ থাকলেও বাস পেতে তেমন কষ্ট হয়নি। ঈদে গ্রামে যেতে না পারলে ঈদের আনন্দটা মাটি হয়ে যায়। তাই যত কষ্ট হোক গ্রামে যাওয়া হবেই।

তারা মিয়া নামের আরেক যাত্রী জানান, বাসের টিকেট মিললেও এখনো বাসের দেখা মেলেনি। বৃষ্টিতে ভিজেই বাসের জন্য মহাসড়কে অপেক্ষা করছি। আশা করছি, বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে না।

এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি (টিআই) মো. ইব্রাহিম জানান, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁওয়ের কাঁচপুর থেকে মেঘনাঘাট টোলপ্লাজা পর্যন্ত এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পুরিন্দা বাজার পর্যন্ত সর্বমোট ১০০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড় থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ৪০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া কমিউনিটি পুলিশ, মোবাইল টিম, হোন্ডা টিম, অ্যাম্বুলেন্স টিম মহাসড়কে ২৪ ঘণ্টা নিয়োজিত থাকবে। এছাড়াও  গাজীপুর রিজিওনের পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান নির্দেশনায় মহাসড়কের কোথাও কোনো সড়ক দুর্ঘটনা ঘটলে দুর্ঘটনাজনিত যানবাহন দ্রুত মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় ও মদনপুর এলাকায় দুটি রেকার এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে একটি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যানজট নিরসনে আমরা নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, অন্যান্যবারের তুলনায় এবার ঘরমুখো মানুষ কোনো দুর্ভোগ ছাড়াই সহজেই তাদের গন্তব্যস্থলে যেতে পারবেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button