আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার ঘোষণা আসবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রবিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপিওভুক্তির ঘোষণাটি আসার কথা ছিল গত মার্চে। এরপর বলা হয় মে মাসে আসবে। অবশেষে জুন মাসের শুরুতে এমপিওভুক্তির ঘোষণা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এসময় তিনি আরও জানান, এমপিভুক্তির জন্য আমাদের সব কাজ শেষ, এখন এটি ঘোষণার অপেক্ষায়। আমরা আগামী সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নতুন এমপিভুক্তির ঘোষণা দেবো। এ বছরের বরাদ্দ অর্থ থেকে এমপিওভুক্ত হওয়া শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা সুবিধা দেওয়া হবে। চলতি অর্থবছর থেকে তাদের এ সুবিধার আওতায় আনা হবে।
নতুন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, আপাতত এ সংখ্যা প্রকাশ করতে চাচ্ছি না, তবে গতবারের মতো একই সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এবারও এমপিওভুক্তি করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আবু বকর ছিদ্দীক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এনামুল কাদের খানসহ অনেকে।
প্রসঙ্গত, স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির অর্থাৎ মান্থলি পে-অর্ডারের আওতায় প্রতি মাসে নির্দিষ্ট অঙ্কের সরকারি অনুদান পেয়ে থাকে। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির আবেদন যাচাই-বাছাইয়ে গত বছরের ৭ নভেম্বর ৯ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সহায়তা করতে চার সদস্যের একটি উপকমিটিও গঠন করা হয়।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ) এমপিওভুক্ত করতে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিজ্ঞপ্তিতে ১০ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এমপিওভুক্তির জন্য আবেদন করতে বলা হয়। ২০১৯ সালে দুই হাজার ৬২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পর নতুন করে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।
নতুন অর্থবছরের বাজেট বরাদ্দের যে প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো হয়েছে, তাতে নতুন প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্তির জন্য ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার কথা বলা হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জন্য ২০০ কোটি টাকা এবং কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের জন্য ৫০ কোটি টাকা।
২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। পরে চূড়ান্ত বাছাইয়ে দুই হাজার ৬১৫টি প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির ছাড়পত্র পায়। এরপর আবার ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ছয়টি এবং ১৪ নভেম্বর একটি প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়। ২০১৯ সালে দুই হাজার ৬২২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করার পর নতুন করে আর কোনো প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়নি।