ফের কারা হেফাজতে পিকে হালদার, মালয়েশিয়ায় ৭ বিলাসবহুল ফ্ল্যাট
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলার পলাতক আসামি প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ছয় অভিযুক্তকে ফের ১৪ দিনের কারা হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
সেক্ষেত্রে আগামী ২১ জুন ফের তাদের কলকাতা নগর দায়রা আদালতের স্পেশাল সিবিআই-৩ কোর্টের জীবন কুমার সাধুর এজলাসে তোলা হবে। আজ মঙ্গলবার কলকাতার নগর দায়রা আদালতে স্পেশাল সিবিআই-৩ এ অভিযুক্তদের তোলা হলে পিকে হালদার এদিন আদালতে স্বীকার করেন তিনি প্রশান্ত হালদার ওরফে শিব শংকর হালদার।
পিকে হালদারের ভাই প্রাণেশ হালদারের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন বাতিল করেন।
এদিন ইডি আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতকে জানান, ‘দুবাই সিঙ্গাপুর গ্রানাডাসহ একাধিক দেশে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন পিকে হালদার। পিকে হালদার এবং যাদের মাধ্যমে টাকা পাচার করত তারা সকলেই বাংলাদেশি।’
ইডির আইনজীবী আরও জানান, ইডি তদন্তে নেমে এখনো পর্যন্ত ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ৪০টি স্থাবর সম্পত্তি, ৬০ কোটি টাকার ব্যাংক আমানতের প্রমাণ এবং মালয়েশিয়াতে সাতটি বাড়ির হদিস পায়।
কারা হেফাজতে থাকা অবস্থায় জেরা করে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে আর সে কারণেই ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয় নগর দায়রা আদালত। এ সময় ইডির কর্মকর্তারা কারাগারের ভেতরে ঢুকেই অভিযুক্তদের সেরা করতে পারবে। সেই সাথে জিজ্ঞাসাবাদের ওই বয়ানও রেকর্ড করা হবে।
এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ ছয় অভিযুক্তকে কলকাতার নগদ দায়রা আদালতের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয়।
গত ১৪ মে অশোকনগরসহ পশ্চিমবঙ্গের জায়গায় অভিযান চালিয়ে পিকে হালদার, তার ভাই প্রাণেশ হালদার, স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মৈত্র, উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে গ্রেফতার ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
এরপর দুই দফায় মোট ১৩ দিন ইডি রিমান্ডের নির্দেশ দেয় আদালত। এসময় নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের হদিস পায় ইডি।