৯ বছর আগের স্মৃতি ফেরালেন সাকিব
ব্যাট হাতে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেট দলের বর্তমান অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলের বিপর্যয়ে হাল ধরলেন আরও একবার। অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুই টেস্টেই পেলেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। এতে ৯ বছর আগের এক স্মৃতি ফিরিয়েছেন তিনি।
২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে এক ম্যাচের দুই ইনিংসেই ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন সাকিব। এবার অ্যান্টিগায় পেলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। একই সঙ্গে টানা তিন ইনিংসে ফিফটি হাঁকালেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক। এর আগে দেশের মাটিতে শ্রীলঙ্কা বিপক্ষে সর্বশেষ ইনিংসেও ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন সাকিব।
এক ম্যাচের দুই ইনিংসেই ফিফটি করার কৃতিত্ব অবশ্য এর আগেও আরও তিনবার দেখিয়েছেন সাকিব। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের আগে ২০১১ সালে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং এর আগে ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এক ম্যাচের দুই ইনিংসে ফিফটির দেখা পেয়েছিলেন তিনি।
অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয়ানদের বিপক্ষে মাত্র ১০৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের বাকিদের ব্যর্থতার মধ্যেও ফিফটি তুলে আউট হন সাকিব। ক্যারিবীয়দের দেয়া ১৬২ রানের লিড টপকাতে গিয়ে ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে যখন হারের ক্ষণ গুনছিল বাংলাদেশ, তখন সাকিব আল হাসানের ব্যাটে কাটে বিপদ। ধীর গতিতে এগিয়ে দলকে ইনিংসে হারের লজ্জা থেকে বাঁচিয়ে অ্যান্টিগা টেস্টে তুলে নিলেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। যা সাকিবের ক্যারিয়ারে ২৯তম অর্ধশতক।
এদিকে, অ্যান্টিগা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রান করে বাংলাদেশ শুরুতেই পথ হারিয়ে ফেলে। তবুও আশা ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে। বিশেষ করে বোলাররা যখন ভালো করেছিল তখন ব্যাটসম্যানদের বাড়তি কিছু করার তাড়না থাকা দরকার ছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৪৫ রানে।
৮৪ রানের মামুলী লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে তখন রাজ্যের চাপ। এরপর ক্যাম্পবেল ও ব্র্যাকউড সেই চাপ সামলে নেন। তৃতীয় দিন শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৯ রানে। আজ রবিবার চতুর্থ দিনে ৩৫ রান তুললেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত।