৫৪টি অভিন্ন নদীর যৌথ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, অভিন্ন নদীগুলোর কারণে দু’দেশের মধ্যে পরিবেশগত সামঞ্জস্য রয়েছে। আর এই মিল পরিবেশ রক্ষার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আজ রবিবার ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যৌথ পরামর্শ কমিটির (জেসিসি) ৭ম দফা বৈঠকে এসব কথা বলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইবার নিরাপত্তা ও রেল ব্যবস্থার আপগ্রেডেশনসহ ভিন্ন ভিন্ন খাতে সাথে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এছাড়াও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, সাইবার নিরাপত্তা, স্টার্টআপ ও ফিনটেক বা আর্থিক প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাথে কাজ করার মাধ্যমে দেশ দু’টির মধ্যে আরও সখ্যতা গড়ার কথা জানান তিনি।
বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের মধ্যে জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ কমিশনের (জেসিসি) বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। উভয় দেশের উদ্যোগ আমাদের সমগ্র অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নে সহায়তা করেছে। আমাদের মধ্যে (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা ও সম্মানের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয়।
এছাড়াও সম্প্রতি বাংলাদেশের সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেটি মোকাবিলায় সহযোগিতার কথা জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের উত্তরে যে নজিরবিহীন বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, তার মোকাবিলায় ভারত তাদের সমর্থন ও সংহতি ব্যক্ত করতে চায়। আমাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও একই ধরনের বন্যা হয়েছে। আমরা এখন অনেক বেশি সময়ের জন্য বন্যা ব্যবস্থাপনা তথ্য শেয়ার করছি।’