বর্ষাকালে কানের যত্ন
বর্ষাকালে বাতাসে জলীয়বাষ্পের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। বাতাসে আর্দ্রতা বৃদ্ধি মানেই তা বিভিন্ন জীবাণুর বংশবৃদ্ধির জন্য আদর্শ পরিবেশ। ফলে শিশু হোক বা বয়স্ক, বর্ষাকালে কানের সমস্যায় ভুগতে থাকেন সকলে। চিকিৎসকরাও জানাচ্ছেন, বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় বর্ষায় কানের নানা সমস্যা বেড়ে যায়। বৃদ্ধি পায় রোগীর সংখ্যাও।
কানে সংক্রমণের কারণ-
কানে ছত্রাক সংক্রমণকে চিকিৎসার পরিভাষায় অটোমাইকোসিস বলে। ফ্যাঙ্গাস ছাড়াও কানে অন্যান্য সংক্রমণের কারণগুলি হ- ঠান্ডা লাগা এবং অ্যালার্জি। স্ট্রেপটোকক্কাস নিউমোনি এবং হিমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা মতো ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণেও কানে নানাবিধ সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ সারাবছরই ঘটলেও বর্ষাকালে এই ধরনের সংক্রমণের মাত্রা বেড়ে যায়। চিকিৎসকরা অবশ্য বলছেন- এছাড়া কানের ময়লা বা ওয়াক্স সঠিকভাবে বেরতে না পারলেও তা ছত্রাক সংক্রমণে ইন্ধন জোগায়।
কানে সংক্রমণের উপসর্গ-
কান বন্ধ, কানে অস্বস্তি, কান ফুলে যাওয়া, হালকা চুলকানি, কানে ব্যথা, শ্রবণক্ষমতা কমে যাওয়া, কান থেকে তরল নিঃসৃত হওয়া, কানে তীব্র ব্যথা হওয়া ইত্যাদি কানে সংক্রমণের উপসর্গ। এমনকি জ্বরও হতে পারে কানে সংক্রমণের লক্ষণ।
বর্ষাকালে কানের যত্ন-
১। গোসলের পর শুকনা কাপড় দিয়ে কান মুছে নিন।
২। কানের ওয়াক্স এমনিই বের হয়ে আসে। আলাদা করে ইয়ারবাড ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কোনও দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করতে হয় না। বরং এসব করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কানের ক্ষত তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে হতে পারে সংক্রমণ।
৩। কানে ওয়াক্স জমে পাথর হয়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি কানে দেওয়ার জন্য ড্রপ দেবেন। সেই ড্রপ কয়েকদিন ব্যবহারে কানের ওয়াক্স নরম হয়ে যায়। এরপর ইএনটি চিকিৎসক সহজেই সেই ওয়াক্স বের করে দেন।
৪। খুব বেশি ঠান্ডা জিনিস খাবেন না। বর্ষাকালে ঠান্ডা খাবার থেকে গলায় সংক্রমণ ও সেখান থেকে কানে সংক্রমণ হওয়া নতুন কিছু নয়।
৫। নাকে সংক্রমণ হলেও দ্রুত ব্যবস্থা নিন। নাক থেকেও সংক্রমণ ছড়াতে পারে কানে।