জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েও অনিয়ম
কাজী ইব্রাহিম সেলিম : পূর্বে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় বাউবি’র অনিয়ম, শিক্ষার্থীদের হয়রানি, পাস করেও পরীক্ষায় ফেল ও অনুপস্থিত দেখানো, সনদপত্রে নাম সংশোধনের মতো সাধারণ একটি কাজও ছয় মাসেও না হওয়াসহ নানা সমস্যা সমাধানে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা গাজীপুর প্রধান কার্যালয়ে বারবার যাওয়া-আসা করেও মুক্তি না মিলায় বাউবির যুগ্ম পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এএসএম নোমান আলম ও সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নাজনীন নেগারের মতো দায়ী কর্মকর্তাদের বহিস্কারের দাবীতে ৫ মে ১৫ চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ সমাবেশ ও অনশনের বিষয়টিসহ নানা সমস্যার বিষয়ে বহুল প্রচার দৈনিক যুগান্তর, কালের কণ্ঠ, সমকাল, আজাদী, পূর্বকোণ, পূর্বদেশ বিজয় টিবিসহ নানা সংবাদপত্রে ব্যাপক প্রকাশের ফলে সারাদেশের এখই সমস্যায় পড়া হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের সঠিক ফলাফল প্রকাশ না হলেও শুধু চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীদের সঠিক ফলাফল চাপের মুখে পড়ে ওইদিন রাত ১০ টায় প্রকাশ হয়েছে। সনদপত্রে নামও সংশোধন হয়েছে। এরপর থেকে বাউবির নানা অনিয়ম দূর হয়েছে। তখন আমরা ভাবতাম শুধু বাউবিতেই অনিয়ম আছে জাবিতে অনিয়ম নেই। কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি জাবিতেও অনিয়ম আছে কিন্তু প্রকাশ করার মতো মানুষ নেই হয়তো। জাবিতে দেখা যায় আদালতের হলফনামা মূলে জাতীয় পরিচয়পত্র ও এসএসসি-এইচ এসসির সনদপত্রের সাথে মিল রেখে বিএসএসের রেজিষ্ট্রিশন কার্ড ও মার্কসীটের নাম সংশোধনি ফি ব্যাংকে জমা করে রশিদ চট্টগ্রাম কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে জাবি ডিন বরাবরে প্রেরণ করার পরও সংশোধন না হওয়ায় আবারো ব্যাংকে ফি জমা করা হয়েছে। এরপর কেন সংশোধন হয়নি তা জানতে কলেজের অধ্যক্ষের ওখানের কর্মচারী নুরুর নিকট ২১ জুন দুপুর ১ টায় গেলে তার দেখা না মিললে ৩ টা পর্যন্ত অপেক্ষা করার পর শিক্ষার্থী ফিরে আসেন। পরদিন ২২ জুন ২২ সাড়ে বারটায় আবারো গেলে নুরু বলেন, ‘১ ঘন্টা পরে আসেন।’ ১ ঘন্টা পরে গেলে বলেন, ‘আরো পরে আসেন।’ এভাবে সাড়ে তিনটা পর্যন্ত হয়রানি করার পর বলেন, “কালকে আসেন।” এভাবে ছোট কর্মচারী হলেও ছোট বিষয়ে শিক্ষার্থীদের বড়ধরণের হয়রানি করছেন, ফলে শিক্ষার্থীও বলে উঠলেন, আমি গত কালকেও এসে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও আপনার দেখা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে। আজকেও এসে সময় নষ্ট হয়েছে কিন্তু এই ছোট্ট একটি কাজের জন্য আমাকে কালকে আবার আসতে বলাটা কাম্য নয়। আপনি কম্পিউটারে ১ মিনিট সময় লাগবে বিষয়টি চেক করে দিতে পারেন। এটা বলায় বাকবিত-া হয়। সেজন্য, শিক্ষার্থী বলেছেন, আপনি ঠিকমতো ডিউটি করেন না বিধায় গত কালকেও আমি তিনটা পর্যন্ত অপেক্ষা করেও আপনার দেখা না ফেয়ে ফিরতে হয়েছে ও ফি দেয়র পরও দু’বছরেও সংশোধন না হওয়ায় আবারো ফি দিতে হল কেন? এসব অনিয়মগুলো আমি সংবাদপত্রে জানানো মাধ্যমে প্রতিবাদ করবো বলে শিক্ষার্র্থী ফিরে আসার সময় অন্য রুমের মফিজ সাহেব ১ মিনিটের মধ্যে বিষয়টি চেক করে বলেন, ‘সংশোধন হওয়ার কাজ চলছে।’ তাহলে দু’বছর আগে ফি জমা করার পরও এখনো পর্যন্ত যদি সংশোধন হওয়ার কাজ চলতেই থাকে তাহলে সংশোধন হবে কবে? বিষয়টি নিয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও সংশ্লিষ্টদের নজরদারী কমনা করছি।
কাজী ইব্রাহিম সেলিম, কবি ও কলামিস্ট, সাবেক সহদপ্তর সম্পাদক ও নির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম রিপোর্টার্স ইউনিটি।