খেলা

বোলিং ফিগার ১-১-০-১; তবুও কেন বঞ্চিত মোসাদ্দেক?

ডমিনিকার উইন্ডসর পার্কে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ৩৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানের সংগ্রহ পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি সফরকারীরা। এমন হারের পর মুখ খুলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। সামনে আসে ১-১-০-১ বোলিং ফিগার সত্ত্বেও মোসাদ্দেক হোসেনের বঞ্চিত হওয়ার বিষয়টি।

১২ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তখন ২ উইকেটে বরাবর ১০০ রান। ক্রিজে দুই সেট উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান ব্র্যান্ডন কিং এবং নিকোলাস পুরান। ঠিক সেই মুহূর্তে টাইগার স্পিনার মোসাদ্দেককে বোলিংয়ে আনেন মাহমুদুল্লাহ।

নিজের কাজ ঠিকমতোই পালন করেন মোসাদ্দেক। সেই ওভারে পুরানকে ফেরান, টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে দুই দলের মধ্যে একমাত্র মেডেন ওভারও আদায় করে নেন এই ডানহাতি স্পিনার। ১-১-০-১, বোলিং ফিগার থাকা সত্ত্বেও উইন্ডসর পার্কে আর বোলিং পাননি মোসাদ্দেক।

ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেককে আর বোলিং না দেওয়া নিয়ে জানতে চাওয়া হয় টাইগার অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহর কাছে। যথারীতি ডানহাতি-বাঁহাতি তত্ত্ব নিয়ে হাজির হন টাইগারদের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। উইন্ডিজদের ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিল বলেই মোসাদ্দেককে আর বোলিংয়ে আনেননি তিনি।

মাহমুদুল্লাহ একই প্রসঙ্গ টেনে আনেন সাকিব আল হাসানকে নিয়েও। বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান পুরান মাঠে থাকায় টাইগার স্পিনার সাকিবকে আনেননি তিনি। অথচ ডানহাতি রোভম্যান পাওয়েলের বিপক্ষে এক ওভারে ২৩ রান হজম করেন সাকিব।

ম্যাচশেষে মাহমুদুল্লাহ বলেন, ‘মোসাদ্দেককে আমি অবশ্যই বোলিং করাতাম। কিন্তু পাওয়েল যখন ব্যাটিংয়ে ছিল, দুজন ডানহাতি ব্যাটসম্যান আর কাউ কর্ণারটাও কিছুটা ছোট ছিল। তাই আমি রিস্কটা নেইনি।

আমি তাসকিনকে তখন বোলিংয়ে আনি, ওইপাশ থেকে সাকিব বোলিং করছিল। আর আপনি দেখবেন আমি সাকিবকে কিছুটা পরে বোলিংয়ে আনি, যেহেতু পুরান ব্যাটিং করছিল।’

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button