যশোরে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত ৯৫,৭১০ গরু ছাগল
মালিক উজ জামান, যশোর : যশোর জেলার আটটি উপজেলায় কোরবানীর জন্য প্রস্তুুত রয়েছে ৯৫,৭১০টি গরু ছাগল।এ কারণে আসন্ন কোরবানীর ঈদে বাইরে থেকে পশু আনার প্রয়োজন হবে না বলে জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে।
জেলায় যে সংখ্যক পশু কোরবানীর জন্য প্রস্তুুত রয়েছে তা চাহিদার তুলনায় বেশি। এ বছর জেলায় কোরবানীর জন্য সর্বমোট ৯৫,৭১০টি গরু ছাগল প্রস্তুত থাকলেও চাহিদা রয়েছে ৯১,১৮৮ টি। উদ্বৃত্ত ৪,৫২২টি পশু। এ গরু ছাগল বাইরের জেলায় বিক্রি করা যাবে। জেলা প্রাণি সম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানীতে বিক্রির উদ্দেশ্যে যশোরে ষাঁড়, বলদ ও গাভী পালন হয়েছে ২৯,১৭০টি। চাহিদা রয়েছে ২৭,৯৫৫টি। ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৬৬,৫৪০টি। চাহিদা রয়েছে ৬৩,২৩৩টি। এর মধ্যে জেলার ৮ উপজেলায় মোট ২৫,৬৮০টি ষাঁড়, ২০৯৩টি বলদ গরু, ১৩৯৭টি গাভী, ৬৫,৯৮৩টি ছাগল এবং ৫৫৭টি ভেড়া পালন করেছেন খামারিরা। কোরবানীর জন্য চাহিদা রয়েছে ২৪,৪৮০টি ষাঁড়, ২০৭৮টি বলদ গরু, ১৩৯৭টি গাভী, ছাগল ৬২,৬৭৬টি ও ভেড়া ৫৫৭টি। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রাশেদুল হক জানান, যশোরে কোরবানীর জন্য যে পশুর চাহিদা রয়েছে তার চেয়ে বেশি প্রস্তুত রয়েছে। এ কারণে বাইরের পশুর প্রয়োজন হবে না। বর্তমানে বাজারে মাংসের যে দাম সে তুলনায় কোরবানীর পশুর দাম কম হবে না। ফলে খামারিরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না জানান এ কর্মকর্তা।
সূত্রে জানায়, আসন্ন কোরবানীকে সামনে রেখে জেলার ২২টি হাটে পশু বেচাকেনা জমে ওঠেছে। কোভিড-১৯ এর বিধিনিষেধ মেনে পশুর হাটে বেচাকেনা করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হ্টা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।এছাড়া বিভিন্ন পশুহাটে জালনোট চক্রের অপতৎপরতা রুখতে প্রশাসনের পক্ষে কঠোর পদক্ষেপ গৃহিত হয়েছে। কোরবানীর পশু জবাইয়ে যশোর পৌর এলাকায় ৪৬টি স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে।