উত্তর কোরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করল ইউক্রেন
ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ইউক্রেন। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার এই পদক্ষেপের আইনি কোনো ভিত্তি নেই। খবর বিজনেস ইনসাইডার।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওলেগ নিকোলেনকো এক টুইট বার্তা লিখেছেন, ‘ইউক্রেনের দোনেস্ক ও লুহানস্ককে তথাকথিত ‘স্বাধীনতা’কে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেন আজ বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে।’
এর আগে গতকাল বুধবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম তাস দোনেস্ক প্রজাতন্ত্রের নেতা ডেনিস পুশিলিন-এর বরাতে জানায়, উত্তর কোরিয়া দোনেস্ককে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। অন্য আরেকটি প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, রাশিয়ায় নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত দোনেস্কের রাষ্ট্রদূতের কাছে একটি স্বীকৃতিপত্র হস্তান্তর করেছেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উত্তর কোরিয়াকে কড়া জবাব দিয়েছে। দেশটি এক বিবৃতিতে বলেছে, দোনেস্ক অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিয়ে উত্তর কোরিয়া ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে’ ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছে। এটিকে তারা ‘ইউক্রেনের সংবিধান, জাতিসংঘের সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মৌলিক নিয়ম ও নীতির চরম লঙ্ঘন হিসেবে দাবি করেছে।
একই সাথে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উত্তর কোরিয়ার স্বীকৃতি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ইউক্রেনের সীমানা পরিবর্তন করবে না। একই এর আইনি কোনো ভিত্তি নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে। তার আগে এ দুটি অঞ্চল নিজেদেরকে স্বাধীন প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রজাতন্ত্র দুটিকে ইউক্রেন থেকে স্বাধীন করার জন্য ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করেন। বর্তমানে লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ থেকে বের করে আনতে সক্ষম হয়েছে রুশ সেনারা।