শুধু মাদক নয়, অস্ত্র ও চোরাচালানে জড়িয়ে পড়েছে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গারা। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে প্রায়ই নিরাপত্তাহীন হয়ে ওঠে ক্যাম্প ও ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল। বুধবার (২০ জুলাই) রাজধানীতে ‘রোহিঙ্গা ও মাদক-সন্ত্রাস’ বিষয়ক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। তারা আরও বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে মিয়ানমারের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অপেক্ষায় আছে বাংলাদেশ।
সেমিনারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এগিয়ে আসার এটিই প্রকৃত সময়।
ডিপ্লোমেটস ওয়ার্ল্ড আয়োজিত সেমিনারে শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকগণ অংশগ্রহণ করেন। পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে রোহিঙ্গাদের উৎপাদনমুখী কাজে যুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন। তার মতে, এই ইস্যুতে জাতিসংঘের আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখা উচিত।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সৃষ্টি করেছে মিয়ানমার। আমরা বিশ্বাস করি, এর সমাধানও তারাই করবে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে মিয়ানমার তাদের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করলে সেটাই হবে এর স্থায়ী সমাধান।
সেমিনারে বক্তারা আরও বলেন, কোনো ধরনের মাদক উৎপাদন না করেও মিয়ানমারের কারণে পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে বাংলাদেশ।