স্ত্রী শশুরবাড়ীর লোকজন কতৃক জামাই কৃষ্ণবাটির ইজাজুল সুমন কে অপহরন ও গুমের অভিযোগ
মালিক উজ জামান, যশোর : স্ত্রী ও শশুরবাড়ীর লোকজন জামাইকে অপহরন ও গুম করার অভিযোগ উঠেছে। অপহরনকৃত জামাইয়ের বোন এই অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে কোতয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। হতভাগা জামাই ইজাজুল সুমন যশোর সদর উপজেলার কৃষ্ণবাটি গ্রামের মকবুল হোসেনের পুত্র। তার বোন সুমি বেগম এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।
ঘটনার বিবরনে জানা গেছে, ইজাজুল সুমনের বিয়ে হয় ঝিকরগাছা উপজেলার কাওড়ী রাজাপুরের সালামের কন্যা বৈশাখী খাতুনের সাথে এক বছর পূর্বে। বিয়ের ৩/৪ মাস পর থেকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দন্দ্ব শুরু হয়। এরকম চলতে থাকার একপর্যায়ে চার মাস আগে বৈশাখী তার পিতার বাড়ি চলে যায়। গত ১০ জুলাই ইজাজুল সুমন রাজধানী ঢাকা থেকে যশোরে আসার পর স্ত্রীকে বাড়ি ফিরে আসার জন্য মোবাইল ফোনে অনুরোধ করে। ১৪ জুলাই ছুটি শেষ হওয়ায় বাড়ি থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে চাঁচড়া চেকপোষ্টে আনুমানিক রাত ৮টা ১০মিনিটের দিকে বাস কাউন্টারে পৌছালে কাওড়ী রাজাপুরের রাজ্জাক মেম্বরের পুত্র মহিদুল ইসলাম, গদখালীর সাগর (৩০), স্ত্রী বৈশাখী সেখানে উপস্থিত হয়ে সুমনকে জোরপূর্বক একটি মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছেনা। পরদিন তার বাড়ির লোকজন সুমনের শশুরবাড়ি যেয়ে তাকে সেখানে দেখেনি। সে কোথায় প্রশ্ন করলেও তারা একেক সময় একেক রকম গোজামিল উত্তর দিচ্ছে। ইজাজুল সুমনের ব্যবহ্নত মোবাইল ফোনটিও বন্ধ দেখা যাচ্ছে। বাধ্য হয়ে ১৮ জুলাই তার বোন সুমী বেগম থানায় অভিযোগ করে। মনিরামপুর উপজেলার মুড়াগাছা সালামতপুরের মকুবুলের স্ত্রী রেখা বেগম, মৃত ছবেদ দফাদারের পুত্র মকবুল ঘটনার আদ্যোপান্ত জানে বিধায় অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষী হয়েছেন।
কোতয়ালি মডেল থানার এস আই রেজাউল এই অভিযোগটির তদন্ত করছেন। তবে তিনি এখনো পর্যন্ত অপহরনকৃত ইজাজুল সুমনের ব্যাপারে কোন কূল কিনারা বের করতে পারেননি। না পাওয়া গেছে তার কোন হদিস না মিলেছে তার লাশ। এ কারনে তার পরিবারের লোকজন ও স্বজনরা চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। উভয় পক্ষকে নিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা শালীষ মীমাংষায় বসে বিষয়টির একটি সুরাহা করতে চান। শনিবার তিনি দুই পক্ষের কথাবার্তা ও অভিযোগ শোনেন। তবে শেষ মীমাংষা জানা সম্ভব হয়নি।