শীর্ষ নিউজ

কাটাখালী ও পাঁজিয়া সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন


মালিকুজ্জামান, যশোর : কেশবপুর উপজেলার কাটাখালী ও পাজিয়া সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার প্রেসক্লাব যশোরে একটি সংবাদ সম্মেলন করেছেন একজন ভূক্তভোগী একই উপজেলার বালিয়াডাঙ্গার দরিদ্র কৃষক আবুল কাশেম।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আবুল কাশেম (৮১) জানান, আমজাদ হোসেন তার মেজো ভাইয়ের জামাতা হওয়া সর্ত্তেও তার দূর্নীতি এতটাই বেড়েছে যে, আপন পর চিনতে পারছেন না। তিনি চাচা শশুরের প্রায় সাড়ে ৪০ শতক জমি জবর দখল করে সেখানে জোরপূর্বক ঘরবাড়ি ও মার্কেট নির্মান করছে। অথচ এই জমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে পার্টিশন মামলা চলমান। ৪০ বছর আগে ভাই ভাই বন্টনে ৪৩১ খতিয়ানে ১৮১ দাগে ৪০.৫ শতক জমি তিনি পান যা পৈত্রিক জমি। অন্য স্থানে সম পরিমান জমি করে বাকি চার ভাই জমি বুঝ পান। আমজাদ হোসেন আবুল কাশেমের মেজো ভাই অর্থাৎ নিজের শশুরের কাছ থেকে জমি ক্রয় করেছে অন্যত্র। তা সর্ত্ত্বেও সে এই মূল্যবান জমি জবর দখল করে সেখানে কোটি টাকা স্থাপনা বাড়ি নির্মান কাজ করছে। জমি জবর দখলে নিতে আমজাদ হোসেন লাঠিয়াল বাহিনী ব্যবহার করেছে। তার শ্যালক হাবিব জবর দখল জমি নিজেদের দখলে রাখতে সরকারি রাস্তার ৫ফুট রাস্তা জবর দখল করে সেখানে স্থাপনা প্রাচীর নির্মান করেছেন। এরা এসব ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে আবুল কাশেম ও তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে কাশেমকে হত্যা করতেও তারা দ্বিধাবোধ করবে না বলে হুমকি দিয়েছে। এছাড়া সরকারি গেজেটভূক্ত জমি, এনিমি পোপার্টি মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনের নামে দাখিলা কেটে দিয়েছেন। আমজাদ হোসেন অবৈধ আয়ে যেমন কাড়ি কাড়ি অর্থ আয় করেন। তেমনি সেই অর্থ দিয়ে একের পর এক অন্যায় কর্ম করলেও তার অপরাধে কেউ বাঁধা দিতে পারছেনা। তিনি এতটাই বেপরোয়া যে কোন অন্যায় তার কাছে অন্যায় মনে হচ্ছেনা। এজন্য সে চাচা শশুরকেও আমলে আনছেনা। বরং তাকে খুন করতেও তিনি পিছপা হবেননা বলে আতঙ্কিত বোধ করছেন চাচাশশুর আবুল কাশেম।
সংবাদ সম্মেলনে আবুল কাসেম জানান তারা পাঁচ ভাই। তবে তিনি বাদে বাকি চার জন মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মেজ ভাই এর জামাই অভিযুক্ত আমজাদ হোসেন কেশবপুর পৌর মেয়রের লোক। সে মূলত কাটাখালী ভূমি ্অফিসের সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা। তবে পাঁজিয়া ভূমি অফিসেরও অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। সামান্য একজন সহকারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হয়েও তার জীবন যাপন প্রশ্নবিদ্ধ। অবৈধ আয় থেকে তার এত টাকা জমেছে যে, মানুষজন তা নিয়ে প্রায় আলোচনা সমালোচনায় মেতে ওঠে। তবে তার সন্ত্রাসী কর্ম ও লাঠিয়াল বাহিনীর ভয়ে কেউ তার অন্যায় অপকর্মের বিরুদ্ধে কোন প্রতিবাদ করতে পারেনা। বিভিন্ন পর্যায়ে অভিযোগ দিয়েও আমজাদ হোসেন কে তার অপকর্ম থেকে সরানো যাচ্ছেনা দাবি করেন কেশবপুর উপজেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত বেলায়েত গাজীর পুত্র আবুল কাশেম।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, আবুল কাশেমের ভাইপো তাজাবুর ইসলাম।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button