বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেছেন, আগস্ট মাস আসলেই বিএনপি তাদের দলের প্রধানের ভুয়া জন্মদিন পালন করে। ৪টা জন্মদিন পরিবর্তন করে শেষে ১৫ আগস্ট তারা জন্মদিন পালন করছে। এটা দেশের জন্য লজ্জাজনক। এরাই জাতির পিতার মৃত্যু দিনে আনন্দ উল্লাস করে। এই বিএনপি জাতির পিতার খুনিদের পুরস্কৃত করেছিল। খুনীদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। এখন তারাই খুনিদের মতো আচরণ করছে। আগস্ট মাস আসলেই তারা উন্মাদ হয়ে যায়।
তিনি বলেন, আগস্ট মাসে বিএনপি’র হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়ে যায়। তাই তারা আগস্টকে সামনে রেখে ৭৫ এর খুনিদের মতো কথাবার্তা বলে ও স্লোগান দেয়। এরাই ৭৫ ও ৭১ এর খুনিদের সাথে হাত মিলিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে উৎখাত করতে চায়। শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে চায়। শেখ হাসিনা যাতে ধ্বংস হয়ে যায় তার জন্য তারা সকল ধরনের ষড়যন্ত্র করে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত ধানমন্ডি ৩২ নম্বরস্থ ঐতিহাসিক বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে আমাদের বিজয় মেনে নিতে পারেনি, যারা পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠির তল্পিবাহক হয়ে বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক মিনি পাকিস্তান বানাতে চেয়েছিল সেই ঘাতকের দল ১৫ আগস্ট জাতির পিতার পরিবারের উপর আঘাত হেনেছিল। বাঙালি জাতির মহান নেতাকে সপরিবারে হত্যা করে ইতিহাসের নিষ্ঠুরতম ঘটনা ঘটিয়েছিল। যা সারা বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিল, পুরো বিশ্ব স্তম্ভিত হয়েছিল।
বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এ অপশক্তি জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার জন্য ৭ মার্চের ভাষণকে নিষিদ্ধ করেছিল। তারা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। তারা খুনি ঘাতক ও সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থানের মধ্য দিয়ে নিজেদের বিজয়ী দেখতো এবং নিজেদের বিজয়ী হিসেবে দাবি করত। এই বিশ্বাসঘাতক দেশ বিরোধী অপশক্তি এখনো রয়ে গেছে। এখনও এরা ষড়যন্ত্রের পথে আগাচ্ছে। তারা ষড়যন্ত্রের রাজনীতি দেশে-বিদেশে চালিয়ে যাচ্ছে। এরা যখনই সুযোগ পায় বিষধর সাপের মত দেশকে দংশন করতে চায়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা মুজিব আর্দশের সৈনিকরা মাঠে থেকে লড়াই সংগ্রাম করে এদের পরাজিত করেছি। আজকের বাংলাদেশ হলো উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ। আজ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ স্বীকৃত। বিশ্বের অনেক বড় বড় নেতারা বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। আর এই সবকিছুই সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার কারণে। তিনি তার দক্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
জ্বালানি তেলের দাম কমানোর ইতিহাস শেখ হাসিনা সরকারের আছে উল্লেখ করে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, সংকট কাটিয়ে উঠতে সরকার সাশ্রয়ী নীতি নিয়েছে। সাশ্রয়ী হওয়া মানে অভাব নয়। দেশ যাতে বড় সংকটে না পড়ে এজন্য সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে। যারা চায় না দেশ এগিয়ে যাক তারা সমালোচনা করবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো থেমে নেই। তারা নানা কায়দায় ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এদের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি আব্দুল আলিম বেপারি, কাজী শহীদুল্লাহ লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, খায়রুল হাসান জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সায়েম, আ ফ ম মাহবুবুল হাসান, দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, প্রচার সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বিটু, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম বিপুল, কেন্দ্রীয় সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন বাবর প্রমুখ।