বিক্রেতার দামবৃদ্ধির নানা অজুহাত যশোরে মূল্যবৃদ্ধির খবরে ডিজেল পেট্টোল ক্রয়ে ক্রেতার ছোটাছুটি
মালিক উজ জামান, যশোর : শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকে দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির খবরে যশোরের সর্বত্র পাম্প গুলোতে তেল কেনার হিরিক পড়ে। রাতে এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়লেই যশোরের বিভিন্ন তেল পাম্প গুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে ক্রেতারা। রাতের তোয়াক্কা না করেই ক্রেতা হন্ত দন্ত হয়ে পাম্পে হাজির হয়ে ডিজেল পেট্টোল অকটেন কিনতে লাইনে দাড়িয়ে যান। এসময় মধ্য রাতে হৈ হট্টগোল পরিস্থিতির সৃস্টি হয়।
আগেভাগে তেল মজুদ করতে দীর্ঘ সিরিয়ালে দাড়িয়ে ক্রেতাদের তেল নিতে আসতে দেখা যায় । কিন্তু অধিকাংশ ক্রেতাই তেল পাননি। এ সুযোগে তেলপাম্প কর্তৃপক্ষও নানা অজুহাতে তেল বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন। কোনো পাম্পে তেল পাওয়া গেলেও সর্বোচ্চ একজনের কাছে দুইশো টাকার তেল বিক্রি করছেন। অনেকেই তেল না কিনেই বাড়ি ফিরে যান। মূল্যবৃদ্ধির খবরে জ্বালানী তেল কিনতে ক্রেতাদের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। পাশাপাশি বিক্রেতারা দামবৃদ্ধিতে নানা অজুহাত দেখায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে হঠাৎ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার বিষয় নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। এ বিষয়ে নাম গোপন রাখার শর্তে এক পাম্পের কর্মচারী জানান, তাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা রয়েছে তেল বিক্রি করা যাবেনা। ৬ আগষ্ট থেকে ডিজেল বিক্রি হবে ১১৪ টাকা লিটার যা ছিলো ৮০ টাকা, পেট্রোল আগে ছিলো ৮৬ টাকা যা বিক্রি হবে ১৩০ টাকা ও অকটেন ছিলো ৮৯ যা আজ থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি করার নির্দেশনা এসেছে। করোনাভাইরাসের কারণে সাধারণ মানুষের আয়ের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছেন, অনেকের ব্যবসা বন্ধ হয়েছে। ফলে আয় কমে এসেছে একটি বড় অংশের মানুষের। এর বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে ওঠার চেষ্টার মধ্যেই জ্বালানি তেলের এই দামের প্রভাব সাধারণ মানুষের ওপর বিপর্যয় নেমে আসবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।