৮৫ বছর আগের দুঃস্মৃতি ফেরাল ম্যান ইউ
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে গুঁড়িয়ে স্মরণীয় এক জয় তুলে নিল পশ্চিম লন্ডনের দল ব্রেন্টফোর্ড। প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার (১৩ আগস্ট) প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ৪-০ গোলে হেরেছে প্রতিযোগিতাটির সফলতম দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সবগুলো গোলই হয় প্রথমার্ধে। নতুন মৌসুমে লিগে প্রথম দুই ম্যাচেই হারল এরিক টেন হাগের দল। এর আগে, প্রথম ম্যাচে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ব্রাইটন অ্যান্ড হোভ অ্যালবিয়নের বিপক্ষে হেরেছিল ২-১ গোলে।
দুই মৌসুম মিলিয়ে লিগে এই নিয়ে টানা সাতটি অ্যাওয়ে ম্যাচ হারল ইউনাইটেড। ৮৫ বছরের বেশি সময় পর লিগে সাত বা এর বেশি ম্যাচে এমন অভিজ্ঞতা হলো তাদের। ১৯৩৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে টানা ১০টি অ্যাওয়ে ম্যাচ হেরেছিল তারা। আর ব্রেন্টফোর্ড ১৯৩৭ সালের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে ইউনাইটেডকে হারাল। ১৯৩৬-৩৭ মৌসুমে দুবারের দেখায়ই জিতেছিল তারা। এরপর মাঝে ছয় ম্যাচের পাঁচটি তারা হেরেছিল, একটি ড্র হয়েছিল।
এদিন, সফরকারীদের দুঃস্বপ্নের শুরুটা হয় দশম মিনিটে। রোনালদো বলের নিয়ন্ত্রণ হারালে পেয়ে যান ব্রেন্টফোর্ডের মাথিয়াস ইয়েনসেন। তার পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জস ডিসিলভার শটে খুব বেশি জোর ছিল না। বাঁ দিকে শুয়ে পড়ে বল ধরতে যান দাভিদ দে হেয়া, বল তার হাত ফসকে জড়ায় জালে। অষ্টাদশ মিনিটে তো শিশুতোষ ভুল করে বসেন দে হেয়া। ডিফেন্ডার লিসান্দ্রো মার্তিনেস পাস দেন গোলরক্ষককে, তিনি কী বুঝে পাস দিলেন সোজাসুজি থাকা ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনকে, ভালোমতো খেয়ালই করলেন না ডেনিশ মিডফিল্ডারের সঙ্গে লেগে আছে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়। এরিকসেন পারলেন না নিয়ন্ত্রণে নিতে, সঙ্গে লেগে থাকা ইয়েনসেন বল ধরে জায়গা বানিয়ে নিচু শটে খুঁজে নিলেন ঠিকানা।
৩০তম মিনিটে তৃতীয় গোলেও দায় ইউনাইটেডের রক্ষণের। কর্নারে দূরের পোস্টে লাফিয়ে হেড করেন ব্রেন্টফোর্ডের ইভান টনি। আর কাছের পোস্ট থেকে হেডে জালে পাঠান ইংলিশ ডিফেন্ডার বেন মি। সেই রেশ কাটতে না কাটতে ৩৫তম মিনিটে অবিশ্বাস্যভাবে স্কোরলাইন হয়ে যায় ৪-০। এবার পাল্টা-আক্রমণে গোল করে স্বাগতিকরা। নিজেদের বক্স থেকে সতীর্থের লম্বা করে পাঠানো বল ধরে টনি বাড়ান ইউনাইটেডের ডি-বক্সের সামনে। সঙ্গে লেগে থাকা লুক শর বাধা এড়িয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রায়ান এমবিউমো।
তৃতীয় দল হিসেবে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ইউনাইটেডের বিপক্ষে প্রথমার্ধে চার গোল করল ব্রেন্টফোর্ড। ২০২০ সালের অক্টোবরে টটেনহ্যাম হটস্পার ও পরের বছরের অক্টোবরে লিভারপুল এটি করে দেখিয়েছিল। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে একটি সুযোগ পান রোনালদো। পর্তুগিজ তারকার হেড উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে। ৬৮তম মিনিটে এরিকসেনের হেড ঠেকান গোলরক্ষক। ঢিমেতালে চলা এই অর্ধে নির্ধারিত সময়ের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতে একটি সুযোগ পায় ব্রেন্টফোর্ড। ফ্রাঙ্ক ওনিয়েকার শট ফিরিয়ে ব্যবধান আর বাড়তে দেননি দেন হেয়া।