বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল যথাযথ মর্যাদায় স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদতবার্ষিকী ও ‘জাতীয় শোক দিবস’ পালন করে।
এ উপলক্ষে কনস্যুলেটে দুই পর্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে এক উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয় এবং দ্বিতীয় পর্বে বর্তমান বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও দর্শনের উপর ‘The Vision of Bangabandhu in Global Context’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানটিতে নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, নিউইয়র্ক ডিস্ট্রিক্ট-২৪ এর অ্যাসেম্বলিম্যান ডেভিড ওয়েপ্রিনসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, বীরমুক্তিযোদ্ধা, শহীদ সন্তান, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক কনসাল জেনারেল ড. মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন উপস্থিত অতিথিসহ কনস্যুলেটের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী’র বাণী পাঠ করা হয়। জাতির পিতা, তার পরিবারের অন্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
কনসাল জেনারেল তার বক্তব্যের শুরুতে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টকে ইতিহাসের জঘন্যতম ও কলঙ্কময় দিন হিসেবে উল্লেখ করেন।
বাঙালী জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও মহান স্বাধীনতার রূপকার বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমরা আজ স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ পেতাম না মন্তব্য করে তিনি বলেন যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন অন্যায়, অবিচার ও শোষণের বিরুদ্ধে এক বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর।
বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট নীতির মূল ভিত্তি “সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়” উল্লেখ করে তিনি যোগ করেন, বঙ্গবন্ধু শুধুমাত্র বাঙালীরই নয় বরং তিনি বিশ্বব্যাপী স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রেরণার উৎস হয়ে সকলের হৃদয়ে চিরদিন বেঁচে থাকবেন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে উন্নয়ন ও স্বনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
কনসাল জেনারেল সকলকে যার যার অবস্থান থেকে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা’ স্বপ্নের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংগ্রামী জীবনী, ব্যক্তিত্ব ও আদর্শের উপর আলোকপাত করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবারের অন্যান্য শহীদ সদস্য ও শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এবং দেশের অব্যাহত সমৃদ্ধির জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।