যশোরে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীকে যৌন হয়রানিতে গ্রেফতার ১
মালিক উজ জামান, যশোর : যশোরে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শাহ্ আলম (৬০) নামে ব্যাক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ আগস্ট) বিকালে সদর উপজেলার ডুমদিয়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক শাহ্ আলাম ডুমদিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী একই এলাকার বাসিন্দা স্কুলছাত্রীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, শাহ্ আলম একজন লম্পট চরিত্রহীন লোক। সে আমার মেয়েকে প্রায় সময় উত্ত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিতো। আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শাহ্ আলম আমার বসতঘরে যায়। বাড়ি ফাঁকা থাকায় যৌন হয়রানি করে। ঘটনার দিন আমার স্ত্রী যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলো। আমি ও আমার স্ত্রী হাসপাতালে ছিলাম। আসামিরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অপরাধটি করেছে।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মনিরুজ্জামান জানান, শাহ্ আলমকে আটক করা হয়েছে। যশোরে সপ্তম শ্রেণির স্কুল ছাত্রীর সাথে প্রেমের অভিনয় করে তার নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগে আদালতে মামলা হয়েছে। বুধবার সদর উপজেলার ঘুনি গ্রামের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর মা তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করেছেন। আসামিরা হচ্ছে, সদর উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের রিপনের ছেলে সাকিব হোসেন, ঘুনি গ্রামের শহিদের দুই ছেলে হাসান ও মঈন। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার দালাল পিবিআই কে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদী মামলায় বলেছেন, তার মেয়ের বয়স ১৪ বছর ৭ মাস। আসামি সাকিব বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়াসহ উত্ত্যক্ত করতো। আর অন্য আসামি হাসান ও মঈন তাকে সহযোগিতা করতো। মেয়েটির বড় বোনের অসুস্থ্যতার কারণে তিনি গত ১৭ জুলাই থেকে ৩ আগস্ট পর্যন্ত ভারতে অবস্থান করেছে। কিন্তু মা-বোন বাড়িতে না থাকায় আসামি হাসান ও মঈনের সহযোগিতায় সাকিব মেয়েটিকে মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য ফুঁসলাইতে থাকে। এক পর্যায় তাদের ভয়ে রাজি হয়। আসামি সাকিব তাকে নগ্ন অবস্থায় হোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে কথা বলার জন্য বলে। ২০ জুলাই তিন ভিডিও কলে বলা কথাগুলো রেকর্ড করে আসামিরা। পরে ১০ আগস্ট আসামিরা মেয়েটিকে ফোন করে ২৫ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে রেকর্ড করা ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়। গত ১৫ আগস্ট সকাল ৮টার দিকে বাদীর বাড়িতে এসে আসামিরা তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করে। বাধ্য হয়ে বাদি আদালতে মামলা করেন।