যশোরে বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৩০
মালিক উজ জামান, যশোর : কোন কারণ ছাড়াই যশোরের বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে জেলা বিএনপি। সেমবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে জেলা বিএনপির উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু। সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, গতকাল রোববার সন্ধ্যায় কেশবপুর উপজেলা শহরে ৫০-৬০ টি মোটরসাইকেল নিয়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা ত্রাস সৃস্টি করে মহড়া চালায়। এ সময় তারা খুঁজে খুঁজে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদেরকে ধরে বেধড়ক মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে। কয়েক জনের হাত পা ভেঙ্গে দেয়। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতের মধ্যে ৯ জনকে খুলনা ও যশোরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়া গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার বেনাপোল বাজারের বিএনপি নেতা মিলনের মার্কেটে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। এসময় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে ১১ নেতাকর্মীকে জখম করে। কারো কারো হাতপা ভেঙ্গে দেয়। আহতরা বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
সংবাদ সন্মেলনে নেতৃবৃন্দ বলেন, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূলের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখন ত্রাস সৃষ্টির লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ হামলা, ভাঙচুর চালাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিভাগীয়ং ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেন, হামলাও ভাঙচুরের ঘটনায় পুলিশকে অবহিত করলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এমনকি তারা মামলাও নিচ্ছে না। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ নার্গিস ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তি, দেলোয়ার হোসেন খোকন, এ্যাড. জাফর সাদিক, আব্দুস সামাদ আজাদ, মিজানুর রহমান খান, আব্দুস সালাম স্বপন, যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র মারুফুল ইসলাম, হাজী আনিসুর রহমান মুকুল, কেশবপুরের সাবেক মেয়র মোস্তফা বিশ্বাস, মুনীর আহমেদ বাচ্চু প্রমুখ।