লিচু ফলের হাজারো গুণ
মালিক উজ জামান, যশোর : রাজশাহী নওগার সাথে পাল্লা দিয়ে যশোরে উৎপাদন হয়। বিশেষ করে যশোর সদর উপজেলার মধুগ্রাম, বৈলতলা, নওদাগা, বাহাদুরপুর, খাজুরা, বাঘারপাড়া উপজেলায় রসালো ফল লিচু ব্যাপক উৎপাদন হয়। এছাড়া চৌগাছা, ঝিকরগাছা, শার্শা উপজেলায় উল্লেখযোগ্য পরিমানে লিচুর বানিজ্যিক উৎপাদন হয়। এই ফলটি ভিটামিন সি-তে ভর্তি। সঠিক নির্দেশিকা মেনে লিচু খেলে এই ফলের উপকারিতা প্রচুর। দেখতে মোহনীয় লাল, কমলা, গাড় গোলাপী বা খয়েরী রঙের ফলটি বছরে মাত্র একবারই ফলন দেয়।
হজমের সহায়ক: লিচুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই লিচু হজমে সাহায্য করে। কনস্টিপেশনের সমস্যায় লিচু অত্যন্ত উপকারী। পেটের যাবতীয় গোলমাল মেটাকে লিচুর খুবই সহায়ক। ইমিউনিটি বাড়য়: আমাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনের অ্যাসক্রোবিক অ্যাসিডের পুরোটাই লিচু থেকে পাওয়া যায়। এই কারণে লিচু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। শ্বেত রক্তকণিকার কার্যক্ষমতা বাড়ায় লিচু। ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়: লিচুতে থাকা তামা আমাদের শরীরের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ায়। রক্তের রোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয় লিচু। লোহিত কণিকা শরীরের বিভিন্ন কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে। ফলে আমাদের হার্টও ভালো থাকে। ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রক: লিচু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। লিচুর মধ্যে থাকা পটাসিয়াম শিরা ও ধমনীর ওপর চাপ কমাতে সাহায্য করে। ত্বকের জন্য ভালো: লিচু আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে। লিচুর মধ্যে থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন সি ত্বককে উজ্জ্বল ও মোলায়েম করে তোলে।
ওজন কমায়: লিচুর মধ্যে থাকা ডায়েটারি ফাইবার ওজন কমানোর জন্য খুবই উপকারী। লিচুর মধ্যে জলীয় উপাদান প্রচুর এবং ক্যালোরি কম। তাই ওজন কমানোর জন্য লিচু একেবারে আদর্শ ফল। এছাড়া ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, কপার রয়েছে লিচুতে।