শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি কর্মচারীদের দায়িত্বশীল ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেছেন, ‘অফিসে নিয়মিত হাজিরা দিতে হবে। অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা’।
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় গতকাল বুধবার স্থানীয় কর্মকর্তা ও পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ‘লেখা পড়া’ হয় না এই অভিযোগ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সরকারি কর্মচারীদের সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। ছেলে-মেয়েরা যাতে সুন্দর পরিবেশে পড়াশোনা করতে পারে, সেই পরিবেশ ও নিশ্চিত করতে হবে।
স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠককালে তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। যারা মনে করেন এলাকার উন্নয়নের ফলে তাদের ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সংকুচিত হচ্ছে; তারাই বিভিন্ন অপ প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
ভোটারদের উদ্দেশে আবদুল হামিদ বলেন, রাজনীতিবিদ আসবে ও যাবে কিন্তু হাওরের উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন; ব্যক্তি ও পারিবারিক উন্নয়নের পরিবর্তে জনগণের উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন তাকেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করুন।
সকল পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এবং রাজনীতিবিদদের জনগণের কল্যাণে কাজ করার এবং সবার সাথে ভালো ব্যবহার করারও উপদেশ দেন আবদুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিতদের মনে রাখতে হবে যে, এই জনগণই আপনাদের সমর্থন দিয়েছে এবং তাদের কারণেই আপনি নেতা হয়েছেন। তাদের (জনতার) প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকতে হবে।’
হাওরাঞ্চলে অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর নির্মাণ না করার পরামর্শ দিয়ে রাষ্ট্রপতি হামিদ বলেন, পরিবেশকে ধ্বংস করে যাতে উন্নয়ন না করা হয় সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আফজাল হোসেন এমপি, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবগণ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি গত ২২ আগস্ট তার নিজ জেলার তিন উপজেলা- মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনায় চলমান কিছু উন্নয়ন প্রকল্পের তদারকি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করতে চার দিনের সফরে কিশোরগঞ্জে যান।