লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বিকাশে সুইসকন্টাক্ট ও যবিপ্রবি চুক্তি স্বাক্ষর
মালিক উজ জামান, যশোর : লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের উন্নয়নে কারিগরি সহায়তা প্রদানে যশোরের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প পণ্যের উন্নয়ন ও ডিজিটাইজেলশন কার্যক্রমের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২৪ আগস্ট যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের-যবিপ্রবি ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সাথে সুইজারল্যান্ড ভিত্তিক সুইসকন্টাক্টের প্রবৃদ্ধি প্রকল্পের সাথে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার আগে আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, যশোরের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। এই শিল্প পণ্যের বর্তমান বাজার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। এই শিল্পকে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালে ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং’কে বর্ষ পণ্য হিসেবে ঘোষণা করেন। বিপুল সম্ভাবনা থাকা সর্ত্তেও, উন্নত প্রযুক্তির অভাব, দক্ষতার অভাব, প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী, বাজার সংযোগ, প্রচার ইত্যাদি কারণে বতমানে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এই শিল্পের উন্নয়নের লক্ষে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ প্রকৌশল শিল্প মালিক সমিতি- যশোর এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে, যার উদ্দেশ্য ছিল লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের উন্নয়ন এবং প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত এবং কারিগরি সহায়তা প্রদান করা। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পণ্যের উন্নয়ন, উৎপাদন পদ্ধতির উন্নয়নে পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিতকরণে কর্মশালাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে সহায়তা করবে। এর শিক্ষার্থীরা এই কর্মশালার সাথে সরাসরি কাজ করার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে। আইইপি বিভাগের চেয়ারম্যান ডক্টর এএসএম মোজাহিদুল হক এই প্রকল্প থেকে একটি ইতিবাচক ফলাফল আশা করেন যা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মধ্যে গঠনমূলক সহযোগিতার উদাহরণ স্থাপন করবে।
সুইজারল্যান্ড এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে, সুইসকন্টাক্ট এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের (এলজিডি) যৌথ উদ্যোগে, প্রবৃদ্ধি প্রকল্পটি সহযোগী পৌরসভাগুলির সাথে স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করছে। এতে অংশ নেন ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিভাগের ডীন প্রফেসর ডক্টর সৈয়দ গালিব, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান ডক্টর মোহাম্মদ জাবেদ হোসেন খান, সহকারী অধ্যাপক সরোজিৎ কুমার বিশ্বাস, মোস্তাফিজুর রহমান, তহিদুজ্জামান, রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবীব, সুইসকন্টাক্টের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন মেজাবিন আহমেদ ও শারমিন আক্তার প্রমুখ।