চট্টগ্রামশীর্ষ নিউজ
জনসেবা করার উপযুক্ত প্লাটফর্ম হলো ‘জনপ্রতিনিধি’
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
দেশের সর্বকনিষ্ট উপজেলা চট্টগ্রামের কর্ণফুলী। সদ্য শেষ হওয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর এবার দরজায় কড়া নাড়ছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন কর্ণফুলী মহিলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদিক রোকসানা বেগম জুছি।
তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় সহযোগিতা চাইতে পারেন। আগামীতে দলের সবুজ সংকেত পাবার অপেক্ষা তাঁর। পাশাপাশি চট্টগ্রাম-১৩ আসনের সংসদ সদস্য মাননীয় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপির হাতকে শক্তিশালী করতে মানুষের জন্য কাজ করতে চান তিনি।
এমনটাই জানিয়েছেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা শাখা বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ও বড়উঠান মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রোকসানা বেগম জুছি। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে সৎ, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান মহিলা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি।
এ ছাড়া কর্ণফুলী উপজেলার সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধনে তাঁর রয়েছে গভীর আগ্রহ। গত রবিবার প্রতিবেদকের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে তিনি বলেন, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করতে চান তিনি। উপজেলাবাসী চাইলে এলাকার জনগণের সেবক হতে চান।
নিষ্ঠাবান ও দক্ষ মহিলা নেত্রী জুছি বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে চাইলে পদ পদবি লাগে না। তবুও জনপ্রতিনিধি হতে পারলে সাধারণ মানুষের খুব কাছাকাছি পৌঁছা যায়। তাঁদের দুঃখ দুর্দশার কথা সহজেই জানা যায়। কারণ জনসেবা করার একটি উপযুক্ত প্লাটফর্ম হলো জনপ্রতিনিধি।
এক প্রশ্নের জবাবে সমাজের বর্তমান প্রেক্ষাপট বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা সকলে মিলে প্রয়াত মহান নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ভাইয়ের স্বপ্নপূরণে মাদক, কিশোর গ্যাং, ইভটিজিং মুক্ত একটি নিরাপদ কর্ণফুলী গড়তে চাই। যেখানে নারীদের সম্মান, নিরাপত্তা নিশ্চিত করে বড়দের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। আশাকরি জনগণ তাদের মূল্যায়নের মাধ্যমে আমাকে সেবা করার সুযোগ দিলে উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করতে পারব বলে আশাকরি।
উল্লেখ্য, রোকসানা বেগম জুছির বাড়ি কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নের (৪নং) শাহমীরপুর গ্রাম। পিতার নাম মরহুম আবদুস সালাম চৌধুরী। তিনি কর্ণফুলী উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আলমগীর চৌধুরীর ছোট বোন। যিনি ২নং বড়উঠান ইউনিয়নে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন। তাঁর স্বামী তৃণমূল আওয়ামী লীগের একনিষ্ঠ কর্মী। মামা লায়ন শামসুল হক চৌধুরী (সাবেক লায়ন গর্ভনর)। যিনি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি। চাচা রেজাউল হায়দার রিজু। সবাই রিজু চেয়ারম্যান নামে চিনেন। যেহেতু তিনি বড়উঠান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আরেক চাচা বীর মুক্তিযাদ্ধা মরহুম কামাল উদ্দিন চৌধুরী। মামাতো ভাই শহিদ কামাল উদ্দিন। সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। বলতে গেলে রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান জুছি।
তিনি ১৯৯৭ সাল থেকে আওয়ামী লীগের একনিষ্ট কর্মী হিসেবে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ২০০৬ সালে মহিলা নেত্রী হিসেবে বেশ পরিচিতি গড়ে তোলেন। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনোয়ারা-কর্ণফুলী সংসদীয় আসনে নৌকার নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে কর্ণফুলী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এছাড়াও নৌকার সর্বোপরি নির্বাচনে দলীয় পুলিং এজেন্ট হিসাবে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বে থাকেন।