আঞ্চলিকশীর্ষ নিউজ

জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদকের নেতৃত্বে বোমমসলা সংগ্রহ উদ্দেশ্য নাশকতা সৃস্টি


মালিক উজ জামান, যশোর : যশোর জেলা যুবলীগ নেতৃবৃন্দ মঙ্গলবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলন করেছে। যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বিএনপি’র খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে যশোরে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন। নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আনছারুল হক রানার নেতৃত্বে যশোরে বিএনপি বোমার মসলা মজুদ করেছে। প্রাথমিকভাবে সাত কেজি মসলা সংগ্রহের হদিশ মিলেছে। বিএনপি যুবদল ব্যপক নাশকতার মাধ্যমে যশোরে ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর পায়তারা করছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিন বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা যুবলীগ নেতা, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন, যশোর জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ মেহেদী হাসান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম রফিক, প্রচার সম্পাদক ও যশোর পৌর ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ জাহিদ হোসেন মিলন, দফতর সম্পাদক হাফিজুর রহমান, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মারুফ হোসেন বিপুল, ত্রাণ ও পুনঃবাসন বিষয়ক সম্পাদক কাজী তৌফিকুল ইসলাম শাপলা, সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও পৌর কাউন্সিলর সাহিদুর রহমান রিপন, ৫নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর রাজিবুল আলম, নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, যুবলীগ নেতা শরীফ এ মাসউদ হিমেল প্রমুখ। আরেপা উপস্থিত ছিলেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জাবের হোসেন জাহিদ, সাবেক সহ-সভাপতি বিএম জাকির হোসেন, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আহসানুল করিম রহমান, মাহাবুবুর রহমান বিদ্যুৎ, সাবেক সহ-সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্তি, সাবেক পরিবেশ সম্পাদক সুমন অধিকারী, সাবেক উপ-দফতর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বনি, সাবেক উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক রেযোয়ান হোসেন মিথুন, জেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাজী রাইয়ান মৌমন, শহর শাখা সভাপতি আব্দুল কাদের, সাধারণ সম্পাদক তছিকুর রহমান রাসেল প্রমুখ। যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামীলীগ ও যুবলীগ যশোরে কাউকে নাশকতা চালাতে দেবেনা। সর্ব শক্তি দিয়ে বিএনপির সকল অপতৎপরতা রুখে দেওয়া হবে। একই সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির খুলনা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে যশোরে অবাঞ্চিত ঘোষনা করেন নেতৃবৃন্দ। এসময় নেতৃবৃন্দ বলেন, তাকে প্রকাশ্যে এসে আওয়ামীলীগের কাছে ক্ষমা না চাওয়া পর্যন্ত জেলার সর্বত্র প্রতিহত করা হবে। কেননা সে আওয়ামীলীগের শোকের মাস আগষ্ট কে কলঙ্কিত করেছে। তার নেতৃত্বে রুপদিয়ায় ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়ী ভাংচুরসহ সেখানে ব্যাপক তান্ডব চালানো হয়েছে। এমনকি সে নিজের বাড়ী গাড়ী ভাংচুর করে সেই মিথ্যা দায় যুবলীগের ঘাড়ে দিয়েছে। বিএনপি সারা দেশের ন্যয় যশোরেও শোকের মাস আগষ্টের শুরু থেকে ব্যাপক অপতৎপরতা সৃষ্টি করেছে। তার মদদেই জেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক আনছারুল হক রানা যশোরে ব্যপক নাশকতা সৃস্টির লক্ষ্যে বিশাল পরিমানে বোমার মসলা মজুদ করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রানা ও তার আস্থাভাজন ঐ কর্মী কালো কবিরের কাছে সাতকেজি মসলা থাকার সংবাদ মিলেছে। যুবদলের সাধারন সম্পাদক আনছারুল হক রানা চার কেজি ও জনৈক কালো কবীর তিন কেজি মসলা দিয়ে বোমা বানানোর উদ্যোগ নিয়েছে। যশোরের শান্ত পরিবেশকে বিশৃঙ্খল করতেই তারা সন্ত্রাসী কার্য্যক্রম, অপতৎপরতা চালাচ্ছে। তাদের অন্ধকারে ফায়দা লোটার ষড়যন্ত্রের বিষয়টি জেলা পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। যুবলীগ তাদের খুজে বেড়াচ্ছে।
সাংবাদিকদের উপর যুবলীগের চড়াও সম্পর্কে যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রেসক্লাবের সামনের ঘটনায় আওয়ামীলীগ বা যুবলীগ জড়িত নয়। যারা করেছে তারা কেউই পরিচিতজন নয়। হতে পারে তারা বিএনপির নাশকতা সৃস্টিকারীদের সদস্যবর্গ। কেননা পত্রিকায় ছাপানো ছবির কাউকে আওয়ামীলীঘ বা যুবলীগ চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে। এসময় সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন আমরা তাদের কখনো দেখিনি। তারা আওয়ামীলীগের কেউ হলে আমরা চিনতে পারতাম। কেউই তাদের চিনতে পারিনি। আপনারা কি তাদের চিনতে পেরেছেন? তাদের কি কখনো আমাদের সাথে দেখেছেন? এসময় যুবলীগ নেতৃবৃন্দ বলেন, সংবাদকর্মী সাংবাদিকরা যদি গলায় বা দেহে মোটর সাইকেলে কার্ড ঝুলিয়ে রাখে তাহলে আওয়ামীলীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর সাথে কোন সমস্যা হবেনা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button