বেনাপোল কাস্টমসে দুদকের অনুসন্ধান
২৩ লাখ টাকার উৎস বলতে পারেনি মুকুল
মালিক উজ জামান, যশোর : যশোর বিমানবন্দর থেকে বেনাপোল কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তাকে ২৩ লাখ টাকাসহ আটকের বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুাং করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। সংস্থাটির যশোর জেলা কার্যালয়ের একটি টিম ইতিমধ্যে সরেজমিন পরিদর্শন করেছে। একইসাথে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে অভিযুক্ত মুকুলসহ আরও কয়েক কর্মকর্তাকে। এ টাকার উৎস সম্পর্কে জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছেন সাময়িক বরখাস্তকৃত খন্দকার মুকুল হোসেন। দুদকের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। খুব শিগগির মুকুলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে দুদকের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানান, দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল-আমিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি টিম বুধবার দিনব্যাপী বেনাপোল কাস্টমস হাউজে অনুসন্ধান চালায়। এ সময় জিজ্ঞাসাবদ করা হয় মুকুলকে। ওই টাকার উৎস সম্পর্কে বিভিন্ন কায়দায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদক কর্মকর্তারা। মুকুলের সাথে সাইফুল ইসলাম নামে আরেক কর্মকর্তাকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কাস্টমস কমিশনার আব্দুল হাকিমের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। অনুসন্ধানে উঠে আসে, গত ২৬ আগস্ট রাজস্ব কর্মকর্তা মুকুল ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সযোগে ঢাকায় যাওয়ার সময় স্ক্যানিংমেশিনে তার ব্যাগে বিপুল পরিমাণ টাকা পাওয়া যায়। এ বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগ ঢাকার হজরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরকে জানায়। বিমানটি ঢাকায় অবতরণের পর এভিয়েশন সিকিউরিটি তার ব্যাগ তল্লাশি করে ২২ লাখ ৯৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এ টাকার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইলে মুকুল তা জানাতে ব্যর্থ হন। পরে ওই টাকা ও মুকুলের আইডি কার্ড জব্দ করে কাস্টম হাউজ যশোরের কাছে মুকুলকে হস্তান্তর করে তারা। এঘটনার পরপরই খন্দকার মুকুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বুধবার দুদকের দিনব্যাপী অভিযানে অবৈধ টাকা রাখার বিষয়টির প্রাথমিকভাবে সত্যতা পাওয়া যায়।
দুর্নীতি দমন কমিশন যশোর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আল-আমিন বেনাপোল কাস্টমস হাউজে অনুসন্ধান চালানো এবং ঘটনার সত্যতা পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য কমিশন বরাবর দ্রুত সুপারিশসহ প্রতিবেদন পাঠানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।